রাজস্থলীর হতদরিদ্র শিশুদের আলোর পথ দেখাচ্ছে সেনাবাহিনী
রাজস্থলী প্রতিনিধি :
দূর্গম রাজস্থলী উপজেলার দরিদ্র পরিবারের শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে ওদের জীবনে নেমে আসে ঘোর আমানিশা। কাপ্তাই ১১ আরই ব্যাটালিয়ানের সহযোগিতায় এই শিশুদের আলোর পথ দেখাচ্ছে রাজস্থলী সাব জোন।
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের আমছড়া গ্রামে অবস্থিত পাহাড় ঘেরা মনোরম পরিবেশে রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্পের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে প্রায় ৪০-৫০ জন বাঙ্গালী ও অ-বাঙ্গালী শিশু শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে সেনাবাহিনী। ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়মূখী হচ্ছে হতদরিদ্র শিশুরা। এদের পাঠদানের দায়িত্ব পালন করছেন ব্যাটালিয়ানের সৈনিক ল্যান্স কর্পোরেল মোঃ মোশারফ হোসেন, ল্যান্স কর্পোরেল সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ল্যান্স কর্পোরেল মোঃ আব্দুল কাদির।
২০১২ সালের জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। সেনাবাহিনীর হাত ধরে আজ এই দূর্গম পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর হতদরিদ্র শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলোর আলোকিত হয়ে উঠেছে।
অভিভাবক মহল সন্তুষ প্রকাশ করে বলেন, সেনাবাহিনীর এই কার্যক্রম এ অঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছে। এর জন্য আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাপ্তাই ১১ আরই ব্যাটালিয়ানকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সরজমিনে পরিদর্শনে জানা গেছে, রাজস্থলী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের বেশ কিছু সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার পরও অনেক হতদরিদ্র পাহাড়ী-বাঙ্গালী শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই ঝড়ে পড়া শিশুদের কথা মাথায় রেখে সেনাবাহিনী তাদেরকে শিক্ষার আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, রাজস্থলীতে সেনাবাহিনী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে এ অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে আলাপকালে রাজস্থলী ক্যাম্প কমাণ্ডার মেজর জাহিদুল ইসলাম জানান, পিছিয়ে পড়া পাহাড়ী শিশুদের জন্য এ কার্যক্রম শুরু করেছে কাপ্তাই ১১ আরই জোন। সরকারের পাশাপাশি এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের হত দরিদ্র শিশুদের শিক্ষিত করে তোলঅ হচ্ছে ।
এ ব্যাপারে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানান, রাজস্থলীর সেনা ক্যাম্প দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলের খেটে খাওয়া হতদরিদ্র পাহাড়ী-বাঙ্গালী শিশুদের মাঝে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। এসময় তিনি তাদের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রসংশা করেন।