রাবিপ্রবিতে বিশ্ব পর্বত দিবস পালিত
“রিস্টোরিং মাউন্টেইন ইকোসিস্টেম”এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব পর্বত দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের আয়োজনে এই দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ থেকে সকাল ১১টায় একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দীপংকর তালুকদার ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দীপংকর তালুকদার ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা।
এছাড়া প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর মো. রুহুল আমিন, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান নেইংম্রাচিং চৌধুরী ননি, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খোকনেশ্বর ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুপ্রিয় চাকমা এবং সঞ্চালনা করেন একই বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিশাত সালসাবিল। অনুষ্ঠানে রাবিপ্রবি’র বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, মানুষের অপরিকল্পিত গাছপালা ধ্বংসের কারণে প্রকৃতি তার রূপ হারিয়ে ফেলছে। প্রতিদিন নানা কাজে ব্যবহারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমরা পাহাড়ের উপর নির্ভরশীল। তাই আমাদের পাহাড়কে রক্ষা করার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। বেশি করে গাছ রোপণ করতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের প্রকৃতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবো।
প্রো-ভিসি বলেন, বিশ্বে প্রকৃতির ইকো সিস্টেম দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে।ফলে মানুষের খাদ্য ও বাসস্থানে সমস্যা হচ্ছে। পাহাড় আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। আমাদের ইকো সিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। ছড়া, ঝর্ণা শুকিয়ে যাচ্ছে। এগুলো আমাদের মানবসৃষ্টের কারণে হচ্ছে। তাই আমাদের ইকো সিস্টেম পুনরুদ্ধারের জব্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
