রামুর কাউয়ারখোপে অগ্রযাত্রা’র উদ্যোগে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫০ পরিবারকে অর্থ বিতরণ শুরু

ramu pic agrajatra 09.11.15

নিজস্ব প্রতিনিধি, রামু

রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় কোমেন-এ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠির মাঝে জরুরি সহায়তা প্রকল্পের শর্তবিহীন অর্থ বিতরণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে অর্থ শুরু হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩ টায় কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আর্ন্তজাতিক ও জাতীয় একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা ও সংগঠক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অগ্রযাত্রা’র চেয়ারম্যান নীলিমা আকতার চৌধুরী।

অগ্রযাত্রা’র নির্বাহী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দিশারী কনসোর্টিয়াম ম্যানেজার আলমগীর রহমান। অনুষ্ঠানে ক্রিশ্চিয়ান এইড-এর প্রতিনিধি সত্যজিৎ রায়, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ছানা উল্লাহ বাবুল সহ ইউপি সদস্য-সদস্যাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অগ্রযাত্রা’র চেয়ারম্যান নীলিমা আকতার চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৪৫০ পরিবারকে নগদ ৯ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে। তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাংসদ কমলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রামু উপজেলায় বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় কোমেন-এ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠির মাঝে জরুরি সহায়তা প্রকল্পের শর্তবিহীন অর্থ বিতরণ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এনজিও এবং দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য রামু উপজেলার চারটি ইউনিয়নে বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় কোমেন-এ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠির জন্য জরুরি সহায়তা প্রকল্পের ‘শর্তবিহীন অর্থ বিতরণ কর্মসূচি’র আওতায় ২ হাজার ৫০০ জন নারী-পুরুষকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ক্রিশ্চিয়ান এইড-এর সহযোগিতায় ও ইকোর অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অগ্রযাত্রা।

জনপ্রতিনিধি ও নিজস্ব কর্মীদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে এ প্রকল্পের উপকারভোগী চিহ্নিত করা হয়েছে। উপকারভোগীদের মধ্যে বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় কোমেন-এ ক্ষতিগ্রস্ত, ভূমিহীন, অসুস্থ, প্রতিবন্ধি, নারী প্রধান পরিবার, সংখ্যালঘু পরিবার, দুগ্ধবতী ও গর্ভবতী নারী, ৬০ বছর বয়স্ক ব্যক্তি প্রধান পরিবার, হতদরিদ্র এবং ভৌগোলিকভাবে বিপদাপন্ন এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন