Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রামুর গর্জনিয়ায় একটি ব্রিজের অভাবে ৫ গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

014 (1)

বাইশারী প্রতিনিধি: রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড নজু মাতব্বর পাড়া শাহ সুজা রোড সংলগ্ন সড়কে মাত্র একটি ব্রিজের অভাবে ৫ গ্রামের হাজারো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফেরদাউছ আলী প্রকাশ ফিরোজ মেম্বার বলেন, গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ও পাহাড়ী ঢলে কাঠের তৈরি সাঁকোটি পানিতে ভেঁসে যাওয়ার পর থেকে সরকারি ভাবে কোন ধরণের বরাদ্দ না পাওয়ায় মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তিনি বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীকে অবহিত করেছেন বলে জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা নুরুল আমিন জানান, বর্তমানে শুকনো মৌসুম হওয়ায় এলাকাবাসীও নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের একটি সাঁকো তৈরি করে কোন রকম পারা পারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।

সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত সড়ক দিয়ে ৫ গ্রামের হাজারো সাধারণ মনুষ ছাড়াও স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীরা যাতায়ত করে থাকেন।

গত সপ্তাহে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পারা পারের সময় জাকের হোসেন নামের স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মো. তারেক ও ময়না পড়ে গিয়ে গুরতর আহত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা তৈয়ব উল্লাহ জানান, গর্জনিয়ার অবহেলিত জনপথ নজু মাতব্বর পাড়া গ্রামটি শিক্ষা দীক্ষা সাংস্কৃতির দিক থেকে এই ব্রিজটির জন্য অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ব্রিজটির অভাবে গ্রামের উৎপাদিত কৃষি পন্য ধান, চাল, রবি শষ্য, ফল ফলাদি সময় মত বাজার জাত করতে না পেরে অনেক সময় পচঁন ধরে যাচ্ছে। শুকনো মৌসুমে যেমন তেমন কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হলে সাধারণ মানুষ ছাড়াও রোগীদের অবস্থা করুন দশায় পরিণত হয়।

স্থানীয়দের দাবি, উক্ত সড়কে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ লাগবসহ এই এলাকার সাধারন মানুষের ভাগ্যোর পরিবর্তন ঘটবে। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন