রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে সতর্কতা জারি

রোহিঙ্গারা অন্য এলাকায় চলে গিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে: কমিশনার আলমগীর

fec-image

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দ্বারা গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের কেউ কেউ এদেশের ভোটার হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা ভোটার যেন না হতে পারে নির্বাচন কমিশন সতর্কতা জারি করেছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার মো. আলমগীর।

সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা জানান।

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘রোহিঙ্গা ভোটার হওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো সুযোগ নেই। কারণ, কয়েক ধাপে ওখানে আবেদন যাচাই করা হয়। তবে এখন শুনছি যে কোনো কোনো রোহিঙ্গা অন্য এলাকায় চলে গিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘প্রতিদিন ভোটার হচ্ছে। যখন তফসিল দেব আমরা ঘোষণা দেব যে, এই তারিখের পরে যারা ভোটার হবেন, তারা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।’

নির্বাচন কমিশনারদের সুযোগ-সুবিধার কোনো পরিবর্তন আসছে না জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘১৯৮৩ সালে যে অধ্যাদেশ আছে, তা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং হাইকোর্টের বিচারপতির সমান অন্য নির্বাচন কমিশনাররা সুযোগ-সুবিধা পান। অন্য সুযোগ-সুবিধাগুলো সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমান পাবেন।

গত কমিশন এই সংক্রান্ত আইনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল, তারা আবার সেটা ফেরত পাঠিয়েছে যে বর্তমান কমিশনের মতামত কী। তখন আমরা দেখলাম যে খসড়া আইনে পেনশনের বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আমরা যেটা বলেছি যে আমরা ওইটার সঙ্গে একমত নই। ১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ যেটা ছিল, সামরিক আইনে, যেগুলো বাতিল করা হয়েছে আমরা সে অনুযায়ী সম্মানী ও ভাতা বিষয়টি কেবল বাংলায় করে নেওয়া হয়েছে। নতুন করে সংযোজন-বিয়োজন কিছুই হবে না। অধ্যাদেশে যা ছিল তা-ই থাকবে।’

আলমগীর আরও বলেন, ‘আগের কমিশন পেনশন চেয়েছিল, আমরা একমত হইনি। নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিল আগের কমিশন। সেটা আমরা বলেছি যুক্তিযুক্ত নয়।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ, ভোটার, মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন