লংগদুতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুড়ে যাওয়া ১৭৬ টি বাড়ি পুণনির্মাণ করে দেবে সরকার
ডেস্ক নিউজ:
রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে গত ২ জুন সংঘটিত অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পুড়ে যাওয়া পাহাড়ীদের ১৭৬টি ঘর-বাড়ি সরকার পূর্ণ নির্মাণ করে দেবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ন প্রকল্প মাধ্যমে আগামী নভেম্বর মাস থেকে এই গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং এক বছর তাদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার তিনটিলা, বাট্টাপাড়া, ও মানিকজোর ছড়ার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়ী পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণকালে ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসনের এই প্রতিশ্রুতি দেন।
রাঙামাটির লংগদুতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মোট ৭১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত মোট ২১৩টি পরিবারকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা করে ২৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও ইআরএফ, ইউএনডিপি, ব্যাংক এশিয়ার সহযোগিতায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪ পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে মোট চার লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৬ পরিবারকে ২৪ হাজার টাকা করে মোট ৪২ লাখ ২৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
লংগদু অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক অনুদান ও আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, ইউএনডিপি রাঙামাটি অফিস প্রধান ঝুমা দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাদ্দেক মেহেদী ইমাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন, লংগদু থানার ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত, ৭নং লংগদু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুলিন মিত্র চাকমা (আদু), ১নং আটারকছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমাসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, ‘সব ক্ষতিগ্রস্তদের আগামী এক বছর পর্যন্ত প্রতিবার ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। আশাকরি আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করা যাবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১ জুন লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ দীঘিনালার চারমাইল এলাকায় পাওয়া যায়। ২ জুন সকালে একটি প্রতিবাদ মিছিল থেকে স্থানীয় পাহাড়িদের দোকান, বসত ঘরসহ চারটি গ্রামের দু’শতাধিক বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়।