লংগদুতে সোনালী ব্যাংকের কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি, তদন্তের নির্দেশ আদালতের

fec-image

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৫০৬ জন হতদরিদ্রকে ভুয়া ঋণের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে এইবার বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্ত চেয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম শাখারপুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-কে (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাঙামাটির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আবু হানিফ এই নির্দেশনা প্রদান করেন।

এরআগে বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর ও রাঙামাটি জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এদিকে তুঘলগি ঘটনাটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে রাঙামাটির সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজার, দুদক, জেলা লিগ্যাল এইডসহ সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয় বরাবওে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিলেন লংগদুর বাসিন্দা আইনজীবি আলাল উদ্দিন।

রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, একজন সচেতন নাগরিক এবং আইনজীবী হিসেবে আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, উক্ত বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের সুবিচার পাওয়ার লক্ষে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে একটি কুচক্রি মহল লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদম এবং বগাচত্বর ইউনিয়নের ৫০৬ জন দিনমজুরকে সরকারি প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে এবং তাদের লংগদু উপজেলা সোনালী ব্যাংক থেকে প্রত্যোক-কে এক হাজার টাকা নগদ অর্থ হাতে দরিয়ে দেয়।

এরপর পার হয়ে গেছে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়। হঠাৎ করে সোনালী ব্যাংক থেকে উক্ত ব্যক্তিদের কাছে ঋণ পরিশোধের নোটিশ আসতে থাকলে ভুক্তভোগী জনতা গত ১৪ জানুয়ারী লংগদু উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সামনে মিছিল সমাবেশ করে এবং এর প্রতিকারের দাবি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন