সরকারি ছুটি ঘোষণার পরদিন থেকে বান্দরবানে পাহাড় কাটছেন যুবলীগ নেতা
বান্দরবানের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জামাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে বিলীন করার অভিযোগ উঠেছে। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগে শহরের কালাঘাটা লেমুঝিরি এলাকায় নিজ খামার বাড়িতে বিশালাকৃতির পাহাড় কেটেছেন তিনি।
প্রাপ্ত তথ্যে ও সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসন যখন ব্যস্ত সময় পার করছে ঠিক সেই মুহুর্তে কালাঘাটা লেমুঝিড়ি নামার পাড়ার পাশে জামাল চৌধুরীর নিজস্ব খামার বাড়ির ভিতরে পাহাড় কাটা শুরু করেন।
গত ১০-১৫দিন যাবত এই পাহাড় কর্তন চললেও বিষয়টি প্রশাসনের গোচরে আসেনি। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে জানিনা। এখন জেনেছি, আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান স্কেভেটর এনে পাহাড় কাটতে শুরু করেন। দিন রাত সমানতালে এই পাহাড় কর্তন চলছে। এর ফলে বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিতে পড়তে হবে তাদের।
পাহাড়কাটার কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটর চালক মোঃ মামুন বলেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জামাল চৌধুরীর পাহাড় কাটছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি ছুটি ঘোষণার পরদিন থেকে তিনি কাজ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামাল চৌধুরী বলেন, আমি পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পোলট্রি খামার করার অনুমতি নিয়েছি। তাই এ পাহাড় কেটে সমান করতে হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান বলেন, এটা পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজ। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা দেখবো।