ফলোআপ

সাজেকে হাম রোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সহায়তা চান হেডম্যান জৈপুতাং ত্রিপুরা

fec-image

রাঙামাটির সাজেক থানার শিয়ালদহ মৌজায় হাম রোগে ৬ শিশু মৃত্যুর ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টার নতুন করে আর কোনো শিশু মারা না গেলেও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৮জন। তবে আক্রান্তরা সকলে পার্শ্ববর্তী তারং পাড়ার বাসিন্দা। এ নিয়ে হামরোগে মোট আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১১৫জন। শিয়ালহদ মৌজার হেডম্যান জয়পুতাং ত্রিপুরা শনিবার সকালে পার্বত্যনিউজকে একথা বলেন। এ রোগে তার মৌজায় এ পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।

তিনি আরো বলেন, নতুন করে কোনো শিশুর মৃত্যু না হলেও অনেক শিশুই রোগের কারণে খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তাদের অবস্থা খুব সঙ্গীন। স্থানীয়ভাবে শিশুদের খাবার ও রোগীর পথ্যের সঙ্কট রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাজেকের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা কিছু আক্রান্ত শিশুদের খাবারের জন্য ম্যাঙ্গো জুস পাঠিয়েছেন যা এখনো এসে পৌঁছায় নি।

এছাড়াও সেখানে যে মেডিকেল টিম ছিলো তারা গতকালই শিয়ালদহ মৌজা ছেড়ে গেছেন। তার স্থানে আরেকটি নতুন মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন তাকে জানিয়েছে।

তবে জয়পুতাং ত্রিপুরা পার্বত্যনিউজকে বলেন, এ ধরণের মেডিকেল টিম এই রোগ মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট নয়।

তার দাবী, ২০১৫ সালে তার মৌজায় ডাইরিয়া ও কলেরা ছড়িয়ে পড়ায় বেশ কয়েকজনের প্রাণহানীর প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারে করে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল করে চিকিৎসা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিলো।

বর্তমান প্রেক্ষাপট মোকাবেলায়ও তিনি সেনাবাহিনীর কাছে তেমন সমর্থন প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে জয়পুতাং ত্রিপুরা পার্বত্যনিউজকে বলেন, সেনাবাহিনী যদি হেলিকপ্টারে করে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে এসে ২০১৫ সালের মতো অস্থায়ী হাসপাতাল করে সকল আক্রান্ত রোগীদের পাড়া থেকে সরিয়ে অস্থায়ী হাসপাতালে রেখে চিকিৎিসা দেয় তাহলেই একমাত্র এই রোগের বিস্তার ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করা সম্ভব।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের মে মাসে দুর্গম শিয়ালদহ মৌজায় ৩ জন মারা ও প্রায় ৩০০ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অনুমতিক্রমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন হতে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম ৭২টি বিভিন্ন রকম ঔষধ (যার মূল্য আনুমানিক ১,৬৭,০০০ টাকা) সহ হেলিকপ্টারে দ্রুত শিয়ালদহ বিওপিতে পৌঁছে একটি আউট পেসেন্ট ক্লিনিক স্থাপন করে ১৫৬ জন ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগীর চিকিৎসা করে। ঐ একই দল আরও একটি অস্থায়ী হসপিটাল স্থাপন করে ১০ জনকে ইনসেনটিভ কেয়ারে রেখে চিকিৎসা প্রদান করে সেবার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন