সারাদেশে ই-নথিতে পঞ্চম মাটিরাঙ্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:

রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সচিবালয় থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক দপ্তরেই ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে চলছে দাপ্তরিক কাজ। স্বল্প সময়ের মধ্যে জনগণের দোরগোড়ায় সব ধরনের সেবা পৌঁছে দিতে ই-নথি বড় ধরনের ভুমিকা রাখছে।

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সচিবালয় ছাড়িয়ে তৃণমুলেও চলছে নানাবিধ কার্যক্রম। আর এ কার্যক্রমে পিছিয়ে নেই দুর্গম পাহাড়ি জনপদও। পার্বত্য জনপদ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম চলছে ই-নথিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য জনপদ মাটিরাঙ্গাকে ডিজিটালের আওতায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। ২০১৬ সালের দিকে মাটিরাঙ্গার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমানের হাত ধরেই মাটিরাঙ্গার অফিসপাড়ায় ডিজিটালের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। তিনি বদলি হলে চলতি বছরের শুরুতে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন বিভীষণ কান্তি দাশ। তিনি যোগদানের পরপরই নতুন উদ্যমে শুরু করেন ই-ফাইললিংয়ের মাধ্যমে সেবা প্রদানসহ দাপ্তরিক সব কর্মকাণ্ড।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে সারাদেশে ই-নথি বাস্তবায়ন শুরুর তিন বছরের মধ্যে  ইন্টারনেট সংযোগে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য জনপদ মাটিরাঙ্গা শীর্ষ পাঁচ অবস্থানে জায়গা করে নেয়। চলতি বছরের মাঝামাঝি শীর্ষ ছয় অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছিল মাটিরাঙ্গা। এ প্রাপ্তিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে বড় ধরনের সাফল্য হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগেও সারাদেশের মধ্যে ই-নথিতে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছিল পাহাড়ি জনপদ মাটিরাঙ্গা।

ই-নথিতে শীর্ষ পাঁচ এ উঠে আসার সব কৃতিত্ব মাটিরাঙ্গার সর্বস্তরের সেবাগ্রহীতাদের দিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ইউএনও বিএম মশিউর রহমান স্যার যা শুরু করেছিলেন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেও আমি তা অব্যাহত রেখেছিলাম বলেই আজকের এ অর্জন। বর্তমানে এ উপজেলার প্রায় শতভাগ কাজ পেপারলেস ই-নথিতে সম্পন্ন হচ্ছে জানিয়ে তিনি এ তালিকার শীর্ষে পৌছার স্বপ্ন দেখেন। ই-নথি কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য তিনি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। অচিরেই উপজেলার সকল অফিসে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেপারলেস ডিজিটাল অফিসে রূপান্তর হবে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ।

প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০১৬ সালে তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পাহাড়ের দুর্গমতাকে অতিক্রম করে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ ই-সেবা প্রদানকারী দফতরের পুরস্কার লাভ করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন