সাহিত্য-সংস্কৃতি অনুশীলনের মাধ্যমে চাকমা ভাষা টিকিয়ে রাখা সম্ভব

fec-image

চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, চাকমা ভাষায় কবিতা, গল্প, সর্ট ফিল্ম, নাটক করে চাকমা ভাষার প্রচার ও প্রসার করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদ ইতিমধ্যে চৌদ্দ হাজার শিক্ষার্থীদের চাকমা ভাষায় লেখা ও বলা কোর্স সম্পন্ন করেছে। তারা চাকমা ভাষা রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

এ সময় তিনি বলেন, যেসব স্কুলে চাকমা ভাষার উপর বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নেই, সেখানে নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে বানছড়া উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গুণীজন সম্মাননা ও চাকমা কবিতার বই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

গুণীজন সম্মাননা সভায় ত্রিদীব চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক জীতেন চাকমা, দীঘিনালা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা,জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর চাকমা ভাষার লেখক সদস্য আনন্দ মোহন চাকমা, আর্যমিত্র চাকমা।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন, কাচালং সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক লালন কান্তি চাকমা, উপজেলা হেডম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক যুবলক্ষ্মন চাকমা, দীঘিনালা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাবু সুসময় চাকমা , ৪ নং দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু চন্দ্র রঞ্জন চাকমা এবং নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদের পরিচারক ইনজেব চাকমা চারু প্রমুখ।

এসময় চাকমা ভাষায় গল্প ও কবিতা লিখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় মুকুন্দ তালুকদার এবং চুনীলাল দেওয়ানকে মরনোত্তর সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট এবং মন্ত্রণালয় এপিএ অন্তভূক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।

পরে নোয়ারাম চাঙমা সাহিত্য সংসদের কমিটিতে, সভাপতি পদে সুপায়ন চাকমা ,সহ সভাপতি পদে ধর্ম বিকাশ চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক পাভেল চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন