সীমান্তের জিরো পয়েন্টে নতুন আতঙ্ক

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

রোহিঙ্গাদের প্রতিকূল অবস্থাকে অনুকূলে আনা তো দূরের কথা। আগের প্রতিকূল অবস্থাকে বলবান রাখতে সীমান্তে বসানো হয়েছে মাইন ও বিস্ফোরক। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সীমান্ত বাহিনী বিজিপি দু’দেশের সীমান্ত রেখা ঘেষে স্থাপন করেছে স্থলমাইন ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক যা রোহিঙ্গাদের আতঙ্কের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। ইতোমধ্যে এসব স্থলমাইন বিস্ফোরণে বৃদ্ধি পেয়েছে মৃতের সংখ্যা। আর আহতের ঘটনা তো নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা যেন ফের মিয়ানমারে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্যই এই অভিনব কায়দার আবির্ভাব ঘটিয়েছে বিজিপি। যার দরুণ আরাকান রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে দেখা দিয়েছে মৃত্যুঝুঁকি। ‍ইতোমধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশান্তরীণ হতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী নাগরিক।

এদিকে ২৬ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে নারীসহ ৬ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমারের ওপারে জীবনের নিরাপত্তা না থাকায় এপারে এসেছেন। কিন্তু জিরো লাইনে এসে নতুন শঙ্কার মধ্যে পড়েন তারা। স্থলমাইনের কারণে ওপারে যেতে পারছে না অনেকে। কাটাতাঁরের বেড়া এলাকায় যেতে ভয় পাচ্ছেন। সীমান্তে সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দেয়ার সময় তারা কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গর্ত করে স্থলমাইন ও বিস্ফোরক মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে বলে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার অধিনায়ক লে.কর্নেল আনুয়ারুল আজিমের জানান, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে স্থলমাইন ও ইমপ্রোভাইস এক্সক্লুসিভ ডিভাইস (আইইডি) বসানোর কথা তারাও শুনেছেন। সত্যি এমন হলে তা আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। বিষয়টি নজরে আসার পর কুটনৈতিক চ্যানেলে ইতোমধ্যে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনি।
সূত্র: বিবার্তা

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন