স্বাক্ষরের পর থেকে সন্তু লারমা পার্বত্য চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন- রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ
স্টাফ রিপোর্টার:
বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির অনেক ধারা বাস্তবায়ন করেছে। আরো অনেক ধারা বাস্তবায়নের কাজ চলমান। চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। তাই নেতিবাচক মনোভাব ও দোষারোপের রাজনীতি না করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করার আহবান জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চুক্তির ২১ বছর বর্ষপূর্তিতে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দরা এসব কথা বলেন।
সভায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, রুহুল আমিন, নিখিল কুমার চাকমা, হাজি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজা বেগম চিনু এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মুসা মাতব্বর, জেলা আওয়ামলীগের সদস্য আবদুল ওয়াদুদ, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ঝিনুক ত্রিপুরা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা, শহর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শাহ ফারুক পিন্টু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, পাহাড়ে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়ন শান্তি চুক্তির ফসল। বর্তমান সরকার শান্তি চুক্তি করে অস্থিতিশীল পার্বত্যাঞ্চলকে শান্তি সম্প্রীতিতে রূপ দিয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, এ সরকারই তা বাস্তবায়ন করবে।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে সন্তু লারমা পার্বত্য চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন। তারা নিজেরাই চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বলছেন সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না। এই সকল মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগনকে বিভ্রান্ত না করার জন্য আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, জনগণের ভালোবাসা পেতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হবে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে, চাঁদাবাজি করে জনগনের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। বিগত নির্বাচনে যেভাবে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে এটাকে বিজয় বলা যায় না, এটাকে বলে ভোট ডাকাতি। আসুন অস্ত্র নয়, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে পার্বত্য জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তনে ভালো কাজ করি।