স্বামীর নির্যাতনে চট্টগ্রামে মেডিকেলে কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি ফাহমিদা
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
সরকারী কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলী হওয়ায় স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম। বাসায় আটকে রেখে তার উপর বর্বর নির্যাতন চালায় তার স্বামী। পরে মূমুর্ষ অবস্থায় সহকর্মীরা স্বামীর জিম্মিদশা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করায়। জীবনের ঝুঁকি থাকায় বর্তমানে চরম শঙ্কায় জীবন কাটছে এই সরকারী কর্মকর্তার।
কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রনালয় থেকে সম্প্রতি হঠাৎ ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাখায় বদলীর আদেশ আসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার শাখার উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগমের। বদলীর আদেশ আসার পর পরই ফাহমিদা বেগমের সাথে তার স্বামী বাহারছড়া এলাকার জাহিদ ইফতেখারের সাথে ঝগড়া শুরু হয়।
নতুন কর্মস্থলে ফাহমিদা তার সন্তানদের নিয়ে যেতে চাইলে তার স্বামী বাঁধা দেয়। পরে এক পর্যায়ে ৫ জানুয়ারি রাত থেকে তাকে বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। পরে খবর পেয়ে ৬ জানুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ১২/১৫ জন সহকর্মী গিয়ে স্বামীর বাসা থেকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ফাহমিদা বেগম।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার শাখার সদ্য বদলী হওয়া ফাহমিদা বেগম জানান, তার স্বামী জাহিদ ইফতেখার একজন মারাত্মক মাদকাসক্ত ব্যক্তি। যখন তখন তার উপর শারিরিকভাবে নির্যাতন চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় তার হঠাৎ বদলীর আদেশের খবর পেলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্বামী। এরপর নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়ার জন্য সন্তানদেরও নিয়ে যেতে চাইলে তার আরো চড়াও হয়ে উঠে জাহিদ। পরে বাসায় আটকে রেখে বর্বর নির্যাতন চালিয়ে শরীরে মারাত্মক জখম করে। পরে তার সহকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার না করলে ওই দিনই স্বামীর হাতে তার মৃত্যু হতো বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, সন্তানরা মায়ের কাছে ভাল থাকে। তাই তার সন্তানদের তার কাছে ফেরত দেয়ার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক তার শ্বশুর বরাবরে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি।
এরপর সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ১১ জানুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক সরাসরি বাহারছড়াস্থ তার শশুর বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু তারা দেয়নি। তার সন্তানদের দ্রুত ফেরত চান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই কর্মকর্তা। একই সাথে জাহিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।