সড়কের অধিগ্রহণকৃত জায়গার উপর দোকান: ভাঙ্গা হচ্ছে না রহস্যজনক কারণে!
বানৌজা শেখ হাসিনা সড়কের পেকুয়া চৌমুহনী পয়েন্টে রহস্যজনক কারণে সড়কের অধিগ্রহণকৃত জায়গার উপর নির্মিত নুরুল হক চৌধুরী মার্কেটের একাংশ ভাঙ্গার অর্ডার থাকলেও ঠিকাদারের প্রকৌশলী মালিকপক্ষের সাথে ম্যানেজ হয়ে দোকান না ভেঙ্গে সড়কের কাজ শুরু করেছেন।
জানা যায়,কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা এসে যানযট নিরসনরোধে এ দোকান ভেঙ্গে পেলার জন্য নিদের্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সে অর্ডার পাল্টে গেল দোকান না ভেঙ্গে নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি কর্তৃপক্ষ। ইউএনওর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। তা পাশ কাটার জন্য ওই মার্কেটের পাশে ঝুপড়ি ঘরদুটি ছিল তা ভাঙ্গার নাম করে লোকেমুখে দেখিয়ে সড়কের প্রস্তুত কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ দোকান না ভাঙ্গায় চৌমুহনী পয়েন্টে যানযট লেগে থাকবে বলে জানান সচেতনমহল। ১৫ জুন সন্ধ্যায় তিনি (ইউএনও) চৌমুহনী মুরে গাড়ি দাড় করিয়ে সরফরাজ আল নেওয়াজ চৌধুরীর সাথে একান্ত কথা বলতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকবার ভাঙ্গতে আসলেও ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের লোকজন আবার না ভেঙে ম্যানেজ হয়ে ফিরে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বানৌজা শেখ হাসিনা সড়কের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নিয়ে ম্যানেজ হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন সামনে কোরবানের ঈদ আসছে তাই মানুষের দুভোগ কমাতে আপাতত না ভেঙ্গে কাজ শুরু করেছি। পরে দোকান ভেঙ্গে ফেলা হবে। ওই দোকানের মালিক পক্ষ কিছুদিনের মধ্যে দোকান ভেঙ্গে দিবে বলে জানিয়েছেন।
সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই বলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বানৌজা শেখ হাসিনা সড়কের প্রকৌশলী ও দোকানের মালিক পক্ষ কে বসে বিষয়টি দ্রুত শেষ করতে বলছি।