হাড়ের ক্ষয় রোগ থেকে বাঁচার উপায়

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

হাড়ের ভেতরের ঘনত্ব বাড়া-কমা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ১৬-১৮ বছর বয়সের দিকে হাড়ের দৈঘ্য বৃদ্ধি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু ২০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ভেতরের ঘনত্ব ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের গঠন ও ক্ষয় একসঙ্গে একই গতিতে চলতে থাকে। ৪০ বছর বয়সের পর থেকে প্রাকৃতিক নিয়মে বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় ক্ষয়ের মাত্রা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। তাই নির্দিষ্ট বয়সে হাড়ের ক্ষয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। হাড়ের এই ক্ষয় বাড়তে বাড়তে হাড় যখন নরম ও ভঙ্গুর হয়ে যায় সেই অবস্থাকে হাড়ের ক্ষয় রোগ বা অস্টিওপোরোসিস বলা হয়।

 

আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি করলে হাড়ের ক্ষয় রোগ থেকে বাঁচা যায়:

মানসিক চাপ মু্ক্ত থাকা:

মানসিক চাপের সাথে হাড়ের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানসিক চাপে থাকলে দেহ থেকে কারটিসোল নামক একটি হরমোন নিঃসরণ হয়; যা হাড় ক্ষয়ের জন্য দায়ী। তাই মানসিক চাপটাকে যতো দূরে রাখবেন ততোই ভালো।

ভিটামিন ডি এর অভাব দূর: 

হাড়ের ক্ষয়রোধের জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তবে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরেও হাড়ের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয় না। তাই হাড়ের সমস্যা ও ক্ষয় রোধ করতে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার যেমন  মাছ, মাছের তেল, দুধ, সয়া দুধ, ফলমূল খেয়ে এর অভাব পূরণ করতে হবে। তবে হাড়ের ক্ষয়রোধ থেকে বাঁচা যাবে।

পুষ্টিকর খাবার: 

মজবুত হাড়ের জন্য খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। কম ফ্যাট যুক্ত দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে প্রতিদিন। দুধ, ডিম, কাঠবাদাম, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ, সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি, প্রচুর পরিমাণে রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। এতে হাড় মজবুত হবে।

ধূমপান ও মদ্যপান বাদ দিতে হবে: 

ধূমপানের ফলে হাড়ের ক্ষয় বাড়তে থাকে। তাই এ থেকে রক্ষা পেতে ধূমপান ও মদ্যপানকে বাদ দিতে হবে।

শারীরিক পরিশ্রম: 

টানা বসে কাজ করলে দেহের হাড়ের ভঙ্গুরতা বাড়ে।  যারা প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম বেশি করে তাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ কম হয় বা হয় না। যারা একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম করেন না তাদের হাড় অপেক্ষাকৃত নরম ও দুর্বল হয়ে পড়ে দ্রুতই। শারীরিক ব্যায়াম, খেলাধুলা, নাচ, সাইকেল চালানো, সাতার কাটা ইত্যাদি ভালো শারীরিক পরিশ্রম। এগুলো হাড়ের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন