নির্বাচনের সময় ৬ সপ্তাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যবেক্ষণ করতে চায় ইইউ অনুসন্ধানী দল

fec-image

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পর্যবেক্ষণ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে আসা ছয় সদস্যের নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল।

সোমবার (১০ জুলাই) সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তারা আমাদের কাছে সহায়তা চাচ্ছে। আমরা বলেছি সব ধরনের সহায়তা দেবো। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় যাওয়ার বিষয়ে বলেছে। এ বিষয়টি দেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আমরাও দেখি। আমাদের দিক থেকে সব সাপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে বলেছি। নির্বাচনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সুতরাং তাদের থাকা, পরিদর্শন করা বা চলাচল করার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা আমরা দেবো।

আরেকজন জানতে চান, ২০০৮ সালে তারা যখন এসেছিলেন তখন ব্যাপক সহযোগিতা পেয়েছিলেন এবারও পাবেন কি না? আমরা বলেছি ২০০৮ সালের চেয়েও ভালো এনজয় করবেন। কারণ ২০০৮ সালে যোগাযোগব্যবস্থা ততটা মসৃণ ছিল না। ওখানে গেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, আমরা বলেছি এটা যেহেতু নির্বাচনকেন্দ্রিক এটি নির্বাচন কমিশন দেখবে। এটার সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত না।

আমিনুল ইসলাম বলেন, তারা নির্বাচনের আগে ছয় সপ্তাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা অবজারভে রাখতে চায়। তারা নির্বাচনের সময় আসবে। আমরা বলেছি সেটি নির্বাচন কমিশন দেখবে। আর আমাদের দিক থেকে অনুরোধ করেছি এটা যেহেতু বিশেষ তিনটি জেলা সেখানে কিছু নিরাপত্তার ইস্যু আছে। যদিও এখন আগের চেয়ে অনেক অনেক ভালো পরিবেশ। আমরা তাদের ব্র্রিফ করেছি যে তিনটি জেলায় ২৬টি উপজেলা, ১২২টি ইউনিয়ন এবং প্রশাসনিক বিষয়ে। তারা খুবই সন্তুষ্ট।

তিনি জানান, সরকারের আমন্ত্রণে তারা এসেছে, নির্বাচন বিষয়ে অবজারভার হিসেবে এসেছে এটিই তাদের উদ্দেশ্য। আমরা বলেছি এটা যেহেতু তাদের নির্বাচনকেন্দ্রিক ভিজিট এটি তারা নির্ধারণ করবে। এটি আমাদের পার্ট না। তারা কবে ভিজিট করবে সেটি জানাননি। আমরা বলেছি তারা আমাদের মেহমান সব ধরনের প্রশাসনিক সহযোগিতা আমরা করবো। সেখানে তারা কী করবে না করবে সেটি দেখবে নির্বাচন কমিশন। আমরা তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি, এখানে স্থানীয় প্রশাসন আছে, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সেনাবাহিনী আছে, সুতরাং তারা যাতে নিরাপত্তার ইস্যুটি মাথায় রাখে সেটি বলেছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন