শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে শীঘ্রই সন্তু লারমা সাথে বৈঠক হবে: ওবায়দুল কাদের
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ৭২টি চুক্তির মধ্যে অনেকগুলো চুক্তি ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। যেগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলো বাস্তবায়নের উপায় বের করার জন্য জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সঙ্গে বৈঠক হবে।
আজ সোমবার সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে রোহিঙ্গাদের জন্য দেওয়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের অনুদানের টাকা গ্রহণ শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চুক্তির আগে ও পরের অবস্থা পর্যালোচনা করলে পাহাড়ে উন্নয়নের দৃশ্য সহজে বোঝা যাবে। এখন পাহাড়ে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎসহ সবকিছুর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের এখন একমাত্র সমস্যা হচ্ছে ভূমি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সকালে জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে তিনি কথা বলেছেন। শিগগির তাঁরা একসঙ্গে বসে বৈঠক করবেন। যেসব চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি, সেগুলো কীভাবে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। এরপর সন্তু লারমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা হবে।
বিএনপির অপপ্রচার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই মুহূর্তে বিএনপির কথামালার চাতুরী ছাড়া আর কোনো পুঁজি নেই। যতই দিন যাচ্ছে, ততই তারা মিথ্যাচার ও স্ট্যান্ডবাজি করে বেড়াচ্ছে। আগামী নির্বাচনে না এলে তাদের অবস্থা হবে মুসলিম লীগের মতো।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন হলেও সব রোহিঙ্গাকে এক দিনে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তারপরও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ হবে না। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু যেমন নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করছেন, তেমনি সাহসের সঙ্গেও রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করছেন।