বান্দরবানের বাইশারীতে ১ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ: আটক ১
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে ১ম শ্রেণীর এক শিশু কণ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বাইশারী ইউনিয়নের মধ্যম বাইশারী গ্রামে ছৈয়দ আলমের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক ছৈয়দ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষিত ওই ৭ বছরের শিশু বাইশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী। তবে ঘটনার পর ধর্ষক জয়নাল আবেদীন (১৭) পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, পাশের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসমত আরা বাইশারী ইউনিয়নে বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। মধ্যম বাইশারী এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে তার ৭বছরের শিশু মেয়েটিকে স্কুলে লেখাপড়া করাচ্ছেন তিনি।
ইসমত আরা এই প্রতিবেদককে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মানুষের বাড়িতে কাজ করতে গেলে বাড়ির মালিক ছৈয়দ আলমের দোকানের কর্মচারি জয়নাল আবেদীন তার শিশু মেয়েকে তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখতে পায় পাশের লোকজন। ঘটনার পর বাড়ির মালিক বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে (বুধবার রাত পর্যন্ত) তিনি শিশু মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করাননি এবং বিষয়টি নিয়ে কাউকে অভিযোগও দেননি।
এদিকে ঘটনার পর ধর্ষক জয়নালকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিক ছৈয়দ আলমের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে ইসমত আরার নিজ গ্রামের মেম্বার নুরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি শুনার পর তিনি বাড়ির মালিক ছৈয়দ আলমকে বলেছেন শিশুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে। তবে তিনি তা করেননি, বরংচ তার কর্মচারী ধর্ষক বখাটে জয়নালকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে।
বাড়ির মালিক ছৈয়দ আলম বলেন, জয়নাল আমার দোকানের কর্মচারি ছিল। তবে ঘটনার পর আমি কিছু বুঝে উঠতে পারিনি তাই তাকে বিদায় করে দিয়েছি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে বুধবার রাত (সাড়ে ১০টায়) মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। আর কেউ অভিযোগ না করলে পুলিশের তেমন কিছু করার থাকে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বাড়ির মালিক ছৈয়দ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
অন্যদিকে ধর্ষিত শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে তার পরিবার। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন।