আরাকান আর্মির ২ কর্মচারীর রিমান্ড শুনানী রোববার
ফাতেমা জান্নাত মুমু:
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সন্ত্রাসী গ্রুপের সহযোগীদের আটক ২কর্মচারীর রিমান্ডের শুনানী আগামী রবিবার। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাঙামাটি (বিশেষ আদালত) চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসুদ্দীন খালেদের আদালতে আটক দুই কর্মচারীকে হাজিরের পর সংক্ষিপ্ত শুনানী শেষে রবিবার রিমান্ডের শুনানীর দিন ধার্য্য করে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেয় আদালত।
এর আগে আটক এক সহযোগী, ২কর্মচারী ও বাড়ির মালিককে আসামি করে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে রাজস্থলী থানা পুলিশ। মামলার আসামিরা হলেন- আরাকান আর্মির সদস্য অং নং ইয়ং রাখাইন (২৫), দুই কেয়ারটেকার মং চ ওয়াং (৩৯) ও চ সুইং অং মারমা (৪২) এবং আরাকান আর্মির নেতা পালাতক থাইল্যান্ড প্রবাসী চিকিৎসক ডা. রেনেই জু মারমা।
রাঙামাটি জেলা আদালতের কোর্ট ইন্সেপেক্টর মোঃ মমিনুল ইসলাম জানান, মামলার সংক্ষিপ্ত শুনানী শেষে আদালত প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতি রবিবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজস্থলী থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় পুলিশ ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত সংক্ষিপ্ত শুনানী শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুল সরকার জানান, গত শুক্রবার রাতে এদের আটকের পর এ দুইজনসহ আটক মোট তিনজন ও পালাতক বাড়ির মালিক ডা. রেনেই জু মারমা আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চ সুই অং মারমা ও মংচওয়াং মারমাকে রাঙামাটির আদালতে হাজির করা হয়।
আগের দিন শুক্রবার অংনু ইয়ং রাখাইনকে অনুপবেশ আইনে করা মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়েছেন রাঙামাটির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বাড়ির মালিক মিয়ানমার নাগরিক ও আরাকান আর্মির কর্মকর্তা ডা. রেনেই জু মারমা এখনো পলাতক রয়েছে। তবে আগে আটক অং নং ইয়ং রাখাইন ও ঐ বাড়ির পলাতক মালিক ডাঃ রেনাই জোকে সন্ত্রাসী দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের জন্য পৃথক রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
তিনি আরও জানান, এ আগে আটক মিয়ানমারের নাগরিক অংনু ইয়ং রাখাইনের স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের মুক্তপাড়া পুনর্বাসন এলাকা থেকে চ সুই অং মারমা ও মংচওয়াং মারমাকে আটক করা হয়। ওই সময় বাড়ীটি সীল গালা করে দেয়া হয়। আটককৃত দুইজনের মধ্যে চ সুই অং মারমা ওই বিলাসবহল বাড়ির কর্মচারী এবং মংচওয়াং মারমার কাজ হল বাড়ির ঘোড়াগুলোকে পরিচর্যা করা ও ঘোড়াগাড়ি চালানো।