উখিয়ার গ্রামীণ জনপদে গড়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় কৃষি ভিত্তিক খামার
উখিয়া প্রতিনিধি :
উখিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় গ্রামীণ জনপদে গড়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় কৃষি ভিত্তিক শিল্প খামার। রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব দরগাহবিল গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ওয়েল ডান এগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক এন্ড মৎস্য খামারটি পূর্ণাঙ্গতা লাভ করলে ২ শতাধিক পরিবারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সৌন্দর্যের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উখিয়ার এক অজপাড়া গ্রামে গড়ে উঠেছে এক বিশাল কৃষি ভিত্তিক শিল্প খামার। সবুজ বনানী বেষ্টিত পাহাড়ের পাদ দেশে নীল জলরাশি পানিভর্তি লেক ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য আনন্দের খোরাক যোগাবে। এছাড়াও রয়েছে বিনোদন স্পর্ট, নৌকা ভ্রমণ, মৎস্য খামারসহ নানা পরিকল্পনা।
উদ্যোগক্তা সিরাজুল কবির জানান, বৃহত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে পূর্ব দরগাহবিল হাতি মোড়া এলাকায় ওয়েল ডান এগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড মৎস্য খামার প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্রায় ১শ একর চাষী জমি ও পাহাড়ী লেকজুড়ে গড়ে উঠা প্রকল্পের মধ্যে থাকবে পোল্ট্রি, দুগ্ধ ও মৎস্য খামার। এছাড়াও সবজি চাষ, কৃষি ভিত্তিক কুঁটির ও হস্তশিল্প। বিনোদনের জন্য মিনি পর্যটন পার্ক থাকবে। চট্টগ্রামের খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান মধুবন এন্ড কোম্পানীর আর্থিক সহযোগিতায় কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে এতদাঞ্চলের ২শ পরিবারের কর্মসংস্থানসহ সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন স্পর্ট হিসেবে গড়ে উঠবে খামার এলাকাটি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মধুবন এন্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ সলোমান সওদাগর বলেন, বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে মাছের চাহিদা পূরণ করতে মৎস্য খাতকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা মাছের ঘাটতি মোকাবেলায় কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলায় আগ্রহী হয়ে উঠেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা ডাক্তার সুরুত আলম জানান, ওয়েল ডান এগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক এন্ড মৎস্য খামার প্রকল্পে শৈল, কৈ, মাগুর, পাঙাস ও তেলপিয়া মাছের চাষ করা হয়েছে। খামার হতে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ মণ মাছ সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হচ্ছে। পূর্ব দরগাহ বিল গ্রামের নুর আহমদ (৫৮) ও হাতির ঘোনা গ্রামের ছখিনা খাতুন (৫০) বলেন, ‘বর্তমানে আমরাসহ ৮০ জন বেকার লোক খামারে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এ ধরনের কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে অনেকেরেই কাজ করার সুযোগ হবে হবে।’