উখিয়ায় মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডঃ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
উখিয়া প্রতিনিধি:
উখিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পূর্বরত্না মৈত্রী বৌদ্ধবিহার আগুনে পুড়ে গেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। উক্ত অগ্নিকাণ্ডে প্রাচীনতম এ বৌদ্ধ বিহারটি সম্পূর্ণ ভস্মীভুত হয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া সড়কের উত্তর পাশে পূর্ব রত্না বৌদ্ধ বিহারটি অবস্থিত। শনিবার সন্ধ্যায় বৌদ্ধ বিহারে আগুন দেখে লোকজন এগিয়ে আসে। কিন্তু আগুনের লেলীহান বেশি মাত্রায় হওয়ায় মুহুর্তের মধ্যে বিহারটি পুড়ে যায়।
খরব পেয়ে কক্সবাজার হতে ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে আসার আগেই মন্দিরটি পুড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় মেম্বার ডাঃ মোকতার আহমদ সাংবাদিকদের জানান, পাশ্ববর্তী মাষ্টার সুবর্ধন বড়ুয়ার স্ত্রী তাকে জানিয়েছেন সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজন বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের লোক উক্ত বিহারে বন্দনা করতে আসে। বন্দনা করে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর পরই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
উখিয়া থানার ওসি পার্বত্যনিউজকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে বলেন, বৌদ্ধ মুর্তির পাশে প্রজ্জলিত মোমবাতির আগুন সন্নিহিত কাপড়ের মাধ্যমে মন্দিরের কাঠের মেঝেতে লেগে আগুনের সূত্রপাত ঘটিয়েছে।
এ দিকে খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলার প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুঃ মাইন উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির কমান্ডিং অফিসার, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী দ্রুত ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে।
পূর্ব রত্না মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু হেমন্দলাল বড়ুয়া বলেন আগুনে বৌদ্ধ বিহারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত সম্পর্কে তিনি এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বলে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।
অপর একটি সুত্র জানান, ঘটনার সময় বিহারের অধ্যক্ষ জ্যোতিমিত্র ভিক্ষু নবরত্ন পরিত্রাণ পাঠ করতে একজন দায়কের বাড়িতে যান বলে জানিয়েছেন মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার সুবধন বড়ুয়া।
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনা পরিদর্শন করতে জেলা প্রসাশক সহ উর্ধতন কর্মকর্তা এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনা স্থলে রয়েছে।