চকরিয়ায় প্রধান শিক্ষিকাকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহধর্মীনি কর্তৃক নির্যাতনের অভিযোগ

চকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়ায় স্কুল চলাকালীন একটি বিদ্যালয়ে ঢুকে কথামতো কাজ না করায় প্রধান শিক্ষিকাসহ ৩জনকে পিটিয়ে আহত করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম ও তার সহধর্মীনি শাহেদা জাফর।

২৮জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট রিংভং দক্ষিণ পাহাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মারধর ও শাররিক নাজেহালের বিষয়টি উত্থাপন করেন আহত প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা আজাদী।

সাংবাদিকদের কাছে প্রধান শিক্ষিকা লিখিত অভিযোগে দাবী করেছেন, পরিবারের সহায় সম্বল বিক্রি করে ২০০৫সালে প্রায় ২০লক্ষাধিক টাকা খরচ করে রিংভং দক্ষিণ পাহাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।

বিদ্যালয়টি বেসরকারী থাকাবস্থায় সহকারী শিক্ষিকা মালেকা বেগম ২০১১সালের ২৪অক্টোবর পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকুরীর কথা বলে স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বিদ্যালয় হতে চলে যান। ওই পদে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে শারমিন আক্তার কানিছকে নিয়োগ দেন স্কুল কমিটি।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারাদেশের ন্যায় বিদ্যালয়টি সরকারী হলে নতুন করে মালেকা বেগম লোভের বশিভূত হয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরী ফিরে পেতে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা আজাদী অভিযোগে আরো দাবী করেন, গতকাল ২৮জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম ও তার সহধর্মীনি শাহেদা জাফর অতর্কিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মালেকা বেগমকে নতুন করে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ ও যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য তাকে (প্রধান শিক্ষিকাকে) অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা তার কোন ক্ষমতা নেই জানিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বললে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহধর্মীনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে টানা হেচড়া করার এক পর্যায়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।

এসময় প্রধান শিক্ষিকাকে উদ্ধারে সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার কানিছ ও প্রধান শিক্ষিকার ভাই জিয়াবুল হক এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদুর রশিদ ও অভিভাবক আবুল কাসেম।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন