ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের ৪০০ চাকমা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষ ব্যাপক রূপ ধারণ করেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে দেশটির চাকমা সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ জন।
এর পাশাপাশি বেশকিছু রোহিঙ্গাও সীমান্তে জড়ো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। তাঁদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। এই অবস্থায় তাঁরা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছেন। সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার থেকে কোনো রোহিঙ্গা অথবা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের লোকজন যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারেন, সে জন্য সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে মিয়ানমারের বাহিনী আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে হেলিকপ্টার থেকে বোমা হামলা করছে।
অন্যদিকে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে এ পর্যন্ত ১০৬ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।
এর আগে আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।