টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে পর্যটকের ঢল
জাহাজের টিকেট নিয়ে ভোগান্তি : আবারো অতিরিক্ত যাত্রী বহন
টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে পর্যটকের ঢল নেমেছে। এ সব পর্যটন জাহাজের টিকেট নিয়ে পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। ঈদুল আযহার ছুটি, শীত শুরুর পূর্বে মূহুর্তের পর্যটক আগমন বেড়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
এমনিতে প্রতিবছর প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমনের দেশী-বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটে। কয়েক দিনের ছুটির কারনে সে ভীড় দুই থেকে তিন গুন বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক পর্যটককে ভোগান্তি ও পোহাতে হচ্ছে। অনেকে জাহাজের টিকেট না পেয়ে ট্রলারে ও স্পীড বোটে ঝুঁকি নিয়ে সেন্টমার্টিন পাঁড়ি দেয়। আবার অনেকে সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ উঠেছে কোনো জাহাজের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন বেড়ানোর পরিকল্পনা নেন কর্মব্যস্ত হাজার হাজার মানুষ। একারণে ২/১ মাস আগে থেকেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের জাহাজের টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। ওদিকে আগাম টিকেট না কেনায় গতকাল আসা অনেকে টিকেট না পেয়ে সেন্টমার্টিন যেতে পারেনি। সেন্টমার্টিনের হোটেল-মোটেলও সম্পূর্ন বুকিং ছিল বলে স্থানীয় এক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এরপরও পর্যটকরা টানা ছুটিতে সেন্টমার্টিন ভ্রমন করা সৌভাগ্য বলে মনে করছেন । অনেক কষ্টে জাহাজের টিকেট ও হোটেলের রুম বুকিং দিতে হয়েছে। তারপরও সেন্টমার্টিন যেতে পেরে খুশি ।
পর্যটক লাবনী জানান, গাজীপুর থেকে স্বপরিবারে সেন্টমার্টিন যাব বলে এসেছি। আগে জাহাজের টিকেট বুকিং না করে সরাসরি জেটিতে এসে টিকেট না পাওয়ায় হতাশা হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। আবার অনেকে যানজটের কবলে পড়ে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছতে না পেরে জাহাজ ছেড়ে দেয়ায় যেতে পারেনি। এ মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল করছে এলসিটি কুতুবদিয়া ও কেয়ারী ক্রজ পর্যটকবাহী জাহাজ। তবে প্রত্যেক জাহাজে ধারন ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে সরকারী ভাবে কোন নৌ টার্মিনাল না থাকায় প্রতি বছর সরকার প্রচুর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিন টেকনাফের দমদমিয়া এলাকা দিয়ে বেসরকারী ভাবে কয়েকটি কাঠের জেটি দিয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করছে। তাছাড়া সেন্টমাটিনে পর্যটকের জন্য এখনো গড়ে উঠেনি পরিবেশ বান্ধব কটেজ। পর্যটকের সুযোগে হোটেল ও রেস্তোরা মালিকরা গলা কাটা বানিজ্য চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।