অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজারসহ ১২টি মেশিন ধ্বংস, আটক-১


কক্সবাজারের চকরিয়ায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে মাতামুহুরী নদী থেকে ড্রেজার ও সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে নদীতে ভাসমান বড় বেইজ এর উপর স্থাপিত ড্রেজার ২টিসহ মোট ১২টি মেশিন ও বিপুল পরিমাণ পাইপ ধ্বংস করা হয়। এসময় অবৈধ বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ১জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮অক্টোবর) দুপুরে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন বালু পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বেতুয়াবাজার, কৈয়ারবিল, হালকাকারা ও লক্ষ্যারচরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নদীতে ভাসমান বড় বেইজের ড্রেজার ও সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ী। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে বৃহস্পতিবার দপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের টিম অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ভ্রাম্যমান আদালত মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট বালি উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত নদীতে ভাসমান বড় বেইজ এর উপর স্থাপিত দুইটি ড্রেজার ও বেশকিছু সেলোমেশিনসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ ধ্বংস করা হয়।
অভিযানের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাতামুহুরীর নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অনুমোদন ব্যতিত আইন লঙ্ঘন করে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে থেকে ভাসমান ড্রেজার ও সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এ অবস্থার কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এনিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের তাগাদা জানানো হয়। এরপরও প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে ড্রেজার ও সেলোমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হাওয়ায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় বালু পয়েন্ট থেকে ভাসমান বড় বেইজের ড্রেজার ও মেশিনসহ মোট ১২টি ড্রেজার ভেঙ্গে বেশকিছু পাইপ জব্দ করে ধ্বংস করে দেয়া হয়। অভিযানের সময় বালু উত্তোলনে নিয়োজিত ১ব্যক্তিকে আটক করা হয়। অবৈধ বালি উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।