নদীর পাশে গড়ে উঠেছে ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

fec-image

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, জেলা প্রশাসন বার বার বলে আসছে যে বাঁকখালী নদীর প্রায় ৫০০ একর জমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে, যেখানে অন্তত ৩ শতাধিক স্থাপনা রয়েছে।

বাঁকখালী নদীকে বলা হয় কক্সবাজারের প্রাণ আর সেই নদীতে চলছে দখলের মহাউৎসব আর তাই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে নদীর কস্তুরাঘাটস্থ মোহনা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে অভিযানে পরিবেশ অধিদফতর, বনবিভাগ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকা জেলা পুলিশের শতাধিক পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার শহরের প্রাণ হিসেবে পরিচিত বাঁকখালী নদীর তীর দখলের মহোৎসব চলছে গত ৫ বছর ধরে। নদীর তীরে ৬ শ’ হেক্টর প্যারাবন নিধন করে একে একে চলছে স্থাপনা নিমার্ণের কাজ। শুধুমাত্র দুই মাসের ব্যবধানে নদীর তীরের জমি দখলের পর চলছে স্থাপনা নির্মাণ।

খুরুশকুলের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য কস্তুরাঘাট পয়েন্টে বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে একটি সেতু। এই সেতুর পাশাপাশি সংযোগ সড়ক তৈরি হওয়ায় সড়কের দুই পাশে প্যারাবন ধ্বংস করে নদী দখলের মহোৎসবে মেতে ওঠেছে প্রভাবশালী চক্র।

যদিও এখানে একটি নদী বন্দর হওয়ার জন্য সরকারের প্রজ্ঞাপন রয়েছে। এর জন্য এ জমি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) বুঝিয়ে দেয়ার জন্য হাইকোর্টের রায় রয়েছে। এর পরিপ্রক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।

তিনি আরো জানান, সকালে শুরু হওয়া এ অভিযান সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। কোনোভাবেই নদী দখলের প্রশ্নে ছাড় দেয়া হবে না।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অবৈধ, উচ্ছেদ, কক্সবাজার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন