আরসা কমান্ডার নুর মোহাম্মদসহ গ্রেফতার ৬, ৭০ হাজার টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার
আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরসা’র সামরিক কমান্ডার হাফেজ মোহাম্মদসহ ৬ জন আরসা সদস্যকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া-শ্যামলাপুর এলাকার গহান পাহাড়ি এলাকা থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি শর্টগান, চারটি দেশীয় এলজি, ৩টি দেশীয় রামদা ও গোলাবরুদ। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ৭০ হাজার টাকা।
শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন- আরসা সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জোহার(৩০), মো. ফারুক হোরেস(২৩), মনির আহাম্মদ(৩৬), নূর ইসলাম(২৯) ও মো. ইয়াছিন(২১)।
কক্সবাজারে র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মইন বলেন, হাফেজ নুর মোহাম্মদ জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প অন্যতম সামরিক কমান্ডার হিসেবে ‘আরসা’র নেতৃত্ব প্রদান করত। তার নেতৃত্বে ‘আরসা’র ৩০-৩৫ জন সদস্য কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তারা পার্শ্ববর্তী দেশ হতে দুর্গম সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র চোরাচালান করতো। গত রাতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে টেকনাফের বাহারছড়া-শ্যামলাপুরের গহীন পাহাড়ে অভিযান চালায় র্যাব।
খন্দকার আল মইন জানান, ২০২২ সালের নভেম্বরে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় হামলায় ডিজিএফআই কর্মকর্তা, বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদি নিহতের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন গ্রেফতার হওয়া আরসা কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদ।
র্যাব জানিয়েছে, নুর মোহাম্মদ কুংফুতে ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত ও বিস্ফোরক তৈরিতে পারদর্শী। সে আরসা’র অন্যান্য সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিত। ২০১৭ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং শরণার্থী হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প- এ অবস্থান করছিল।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন: