ইসলামাবাদ চেয়ারম্যান ও পুত্র কতৃক মেম্বার রাজ্জাককে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা
কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ চেয়ারম্যান ও তার পুত্রের অব্যাহত অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে দিবালোকে মেম্বার রাজ্জাককে হত্যা চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মেম্বারকে হত্যা চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (৬ জুলাই) বাদ আছর পাহাশিয়াখালীতে মাস্টার ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে, ঈদগাঁহ ফরিদ আহমদ ডিগ্রী কলেজ ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্তব্য রাখেন, মাস্টার মনসুর আলম ,রুবেল, হাফেজ মুবিন, হাফেজ শাহাবুদ্দিন, মোজাম্মেল হক, উসমান সরওয়ার, জাগির হোছন, আজিজুল হক ও জিয়াউল হক প্রমুখ।
বক্তারা ইসলামাবাদ চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে নিজে এবং তার ছেলে ইমরুল কায়েসের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এবং গোপনে পরিষদের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ভোগিদের কাছ থেকে অনৈতিক উপায়ে বছরের পর বছর নগদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
যা শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে আসছে ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশ সভাপতি আবদুর রাজ্জাক।
সেই থেকেই দুজনের বিরোধ শুরু হয়। অবিলম্বে দিবালোকে মেম্বারকে খুন করতে অস্ত্র মহড়া দেয়া চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক ও তার পুত্র ইমরুল কায়েসকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন একই দিন সকালে পাহাশিয়াখালী উত্তর পাড়ার আবু তাহের ফকিরের স্ত্রী মালেকা আবদুর রাজ্জাক মেম্বারের নিকট অভিযোগ করেন, প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড দেয়ার কথা বলে চেয়ারম্যানের ছেলে ইমরুল কায়েস তার থেকে‘সহ আরো ১১ জনের কাছ থেকে তার মাধ্যমে ৮‘শ টাকা করে নেয় এবং কার্ড না দিয়ে গড়িমসি করে যাচ্ছে।
এ সংবাদ শুনে মেম্বার রাজ্জাক মহিলা‘সহ ইমরুল কায়েসের কাছে টাকা নেয়ার কারণ জানতে যাওয়ার পথে ইমরুলের সাথে তাদের রাস্তায় সাক্ষাৎ হয়ে যায়।
এতে রাজ্জাক তার কাছে টাকা নেয়ার কারণ জানতে চাইলে সে উল্টো মেম্বারকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে গালিগালাজ করে।এতে দুজনের মধ্যে চরম বাগবিতণ্ডা হয়।এতে লোকজন এগিয়ে এসে তাদের নিভৃত করে।
পরক্ষণেই চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক প্রকাশ্যেই অস্ত্র নিয়ে মেম্বার রাজ্জাককে খুন করতে এগিয়ে আসে বলে দোকান এলাকায় অবস্থানকারী অসংখ্য লোকজন জানান।
এসময় উপস্থিত লোকজন এগিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যানকে নিভৃত করে বাড়ির দিকে ফিরিয়ে দেন এবং মেম্বার রাজ্জাককে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে বড় ধরণের ঘটনা থেকে ইউনিয়ন বাসীকে রক্ষা করেন।
সংঘটিত ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে ভুক্তভোগী মেম্বার আবদু রাজ্জাক আইনানুগ পথে হাঁটছেন বলে জানান।