এলাকার সাধারণ মানুষ ও বিজিবি‘র মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা উচিত
রুমা প্রতিনিধি:
সীমান্তে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে বিজিবি আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। এখন বিজিবি উন্নয়ন কাজের মধ্য দিয়ে সীমান্তে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। তবে সাধারণ মানুষেকে শাসন করতে নয়, সেখানে জনসেবা করা হচ্ছে। এলাকার উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে সাধারণ মানুষ ও বিজিবি(বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)‘র মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা জরুরি। বান্দরবানের রুমায় ৫৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান আয়োজনে সোমবার বেলা ১১ টায় রুমা সদর ইউনিয়নের বটতলী পাড়া বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে জনসচেতনতামূলক সভায় বান্দরবানের বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল হাবিবুর রহমান পিএসসি এসব কথা বলেন।
সেক্টর কমান্ডার হাবিবুর রহমান বলেন, চোরা-চালান বা মাদক শুধু সীমান্ত থেকে আসছে, তা নয়। শহর থেকেও এলাকায় আসতে পারে। বিষয়টি সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। এব্যাপারে সমাজের কর্তাদেরও উদ্যোগ নিয়ে জনসচেতনতা মূলক কাজ করতে হবে। মাদকাশক্তের কুফল সম্পর্কে সেক্টর কমান্ডার বলেন পরিবারের কোনো সদস্য একবার মাদকাশক্ত হয়, সে মাদকাশক্ত সেরে উঠে আসতে খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। কোনো মাদকাশক্ত থাকলে পরিবারে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই ইয়াবা, হেরোইন ও ফেন্সিডিল প্রত্যাখ্যান করতে হবে। এই তিনটি জিনিস সমাজের সবচেয়ে ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দেশের জঙ্গীবাদ সম্পর্কে হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যেগের কারণে এখন দেশে জঙ্গীবাদ প্রশমিত হয়েছে। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও চোরা-চালান বন্ধ করতে নিজেকে আগে এসব কাজ থেকে দুরে রাখতে হবে।
সেক্টর কমান্ডার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উন্নয়ন সম্পর্কে আরও বলেন, সমাজের একটি অংশ এলাকার উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজে চাঁদাবাজি করে এমন তথ্য আছে। এসব অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে সামাজিক আন্দোলণ গড়ে তুলতে হবে। চাঁদাবাজির সাথে কোনো লোক জড়িত থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি কর্তৃপক্ষের নিকট তথ্য দেয়ার সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষার উন্নয়ন সম্পর্কে হাবিবুর বলেন, পড়ালেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞান আহরণ করা, শুধুমাত্র সরকারি চাকরি করা নয়। শিক্ষিত হতে পারলে অনেক কিছু ভাল কাজ করা যায়। পড়লেখা করতে গিয়ে পরিবারের সন্তান কে কি করছে, তা পরিবারের প্রধানকেই খেয়াল রাখতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ৫৩ বিজিবি‘র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জাকিরুল করিম, রুমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেঙ্গুম মৌজা হেডম্যান উহ্লাচিং মারমা, সেঙ্গুম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বটতলী পাড়া প্রধান থোয়াইচিং মারমা কারবারী ও আগ্যমং মারমা প্রমূখ।
পরে বিজিবি‘র চিকিৎসক টিমের বিনা মূল্যে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।