কক্সবাজারে উদ্বোধনকৃত ঈদগাঁও থানার প্রশাসনিক কার্যক্রম জোড়া খুনের মামলা দিয়েই শুরু!
লাখো জনগণের অধরা স্বপ্ন ঈদগাঁও থানা উদ্বোধনের পর্দা উঠার পূর্বের দিন মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যারাতে উক্ত থানার অধীন ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চরপাড়া নামক এলাকায় জায়গা বিরোধের জেরে আবুল কালাম নামের খুনির দলের হাতে নৃশংস খুনের শিকার মা রাশেদা বেগম ও মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের লাশ ময়না তদন্ত শেষে বুধবার (২০ জানুয়ারি ) সন্ধ্যা ৬টায় নিহতের নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় মেম্বার সাইফুল ইসলাম জানান, সংঘটিত খুনের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।তবে লাশ দাফন শেষে নিহতের পরিবার মামলার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের প্রশাসনিক কার্যক্রম কক্সবাজার মডেল থানার অধীনে সম্পন্ন হলেও বুধবার ঈদগাঁও থানা উদ্বোধন হওয়ায়, মামলা ঈদগাঁও থানায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বুধবার শুভ উদ্বোধন হওয়া ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আবদুল হালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, সংঘটিত জোড়া খুনের ঘটনার মামলা বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ঈদগাঁও থানায় দায়ের হবে। তাহলে কি আলোচিত এ জোড়া খুনের মামলা দিয়েই কি নতুন ঈদগাঁও থানার প্রথম প্রশাসনিক মামলা কার্যক্রমের গোড়াপত্তন হবে!
উল্লেখ্য, দেরিতে হলেও অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতের পরশে বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে উদ্বোধন হয়েছে কক্সবাজার জেলার নবম থানা ঈদগাঁও।
এতকাল ধরে উক্ত থানাধীন পাঁচ ইউনিয়ন যথাক্রমে ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, জালালাবাদ ও পোকখালী- কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন কক্সবাজার মডেল থানার অধীনে ছিল প্রশাসনিকভাবে। বর্তমানে এ পাঁচ ইউনিয়ন কক্সবাজার সদর উপজেলার আওতাভুক্ত থাকলেও প্রশাসনিকভাবে নতুন উদ্বোধন হওয়া ঈদগাঁও থানার অধীনে।