কক্সবাজারে কদরের রাতে করোনা থেকে মুক্তি ও দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা
করোনা থেকে মুক্তি, দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা, অশ্রু বিসর্জনে গুনাহ মাফ ও সারাবিশ্বে নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য সাহায্য প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হয়েছে।
রবিবার (৯ মে) মহিমান্বিত রজনীতে সবার শান্তি ও হেদায়েত কামনা করা হয়। লাইলাতুল কদরের ফজিলত হাসিলের প্রত্যাশায় মসজিদগুলোতে কুরআন তিলাওয়াত, মিলাদ, কিয়াম ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে প্রার্থনা করেন মুসলমানরা। বিশেষ করে, পবিত্র রমজানের শেষ দশকের বিশেষ রজনীতে মসজিদের ভেতর বাইরে মুসল্লিতে ভরপুর দেখা গেছে। চোখের পানি ফেলে গুনাহ মাফ চেয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।কক্সবাজার বদর মোকাম জামে মসজিদে খতমে তারাবিহ ছিল। তাই এখানে প্রচুর মুসল্লির সমাগম ঘটেছে। মসজিদের ওঠান ছাড়িয়ে দ্বিতীয় তলা পূর্ণ হয়ে পথেও জায়নামাজ-চাটা বিছিয়ে ইবাদত করতে দেখা যায়। রাত অবধি চলে প্রার্থনা।
শবে কদর, যাকাত ও রমজানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন খতিবরা। কোন কোন মসজিদে শেষ রাতে জামাতের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েছেন মুসল্লিরা। তসবিহ-তাহলিলে কাটিয়ে দিয়েছে রাত।
আরবি শব্দ ‘লাইলাতুল’ অর্থ রাত এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ মর্যাদা। অর্থাৎ লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রাত। ইসলাম ধর্ম অনুসারে, লাইলাতুল কদরে সৌভাগ্য বয়ে আনে। এ রাতে মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারিত হয়। এ কারণে লাইলাতুল কদরের রাত অত্যন্ত পুণ্যময়। এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক পূণ্যের।
তবে, কদরের নির্দিষ্ট কোনও তারিখ নির্ধারিত নেই। ২০ রমজানের পর যে কোন বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। এ কারণে বেজোড় রাত ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজানের ইবাদতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ রাতে গুনাহ মাফ চেয়ে বেশি বেশি ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত।
২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে অনেক আলেমরা মনে করেন। পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে এই রাতেই। তাই ২৬ রমজানের দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়। বাংলাদেশে এই একটি রাত বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।