কলকাতায় করোনায় ২ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকতায় মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। গত একদিনে সেখানকার পৃথক দু’টি হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত কলকতায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মৃত ওই দুই রোগীর নাম অনিতা বর্মন ভৌমিক (৫৬) এবং দীপা গুপ্তা (৬০)। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার। শনিবার সকাল ৮টায় আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা গুপ্তা মারা যান। আর বিজয়নগর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা ভৌমিক মারা যান শুক্রবার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, দীপা গুপ্তা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন এবং গত ২৬ এপ্রিল কোভিডের উপসর্গ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অন্যদিকে অনিতা বর্মন ভৌমিকের মাল্টিপল মায়লোমা ছিল এবং গত ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ভৌমিকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার ডেথ সার্টিফিকেটে ‘মাল্টিপল মায়লোমা এবং কোভিডের পটভূমিতে কার্ডিওরসপিরাট্রি ব্যর্থতা এবং কার্ডিওজেনিক শক’ উল্লেখ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের প্রায় সবাই বয়সে প্রবীণ এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতা রয়েছে।’
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, দীপা গুপ্তা করোনা নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল ভর্তি হন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। গত দু’বছর ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত দীপার শারীরিক অবস্থা শুক্রবার রাত থেকেই খারাপ হতে শুরু করে। শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, ক্যান্সার ছাড়াও অন্য কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন ওই নারী এবং সেই কারণে তিনি করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি।
স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৭ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১৫০ জন। আর তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০২ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ১৫.১৭ শতাংশ। কলকাতা এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমণের হার বেশি।