খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে সেনাপ্রধান
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৭ মে) সরেজমিনে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
এ সময় লেফট্যানেন্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান (এসজিপি, পিএসসি, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ) লেফট্যানেন্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম (এসবিপি, ওএসপি, এসইউপি, এডব্লিউসি, পিএসসি, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল), মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন (এএফডব্লিউসি, পিএসসি, চিফ কনসালট্যান্ট জেনারেল, এডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট), মেজর জেনারেল মো. মোশফেকুর রহমান (এসজিপি, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি, অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল), ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান (বিএসপি, এনডিইউ, পিএসসি) সহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প। জলবায়ু উদ্বাস্ত ও বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে ভূমিহীন ৩ হাজার ৮০৮টি পরিবারের পুনর্বাসন করা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
প্রকল্পটি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে পাইল ফাউন্ডেশন দিয়ে ১১৯টি ৫ তলা ভবন নির্মাণ অন্যতম।
এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় উপাসনালয়, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, খেলার মাঠ এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাসহ বিবিধ সুবিধাদি নির্মাণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আগামী জুন ২০২৩ এর মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়। সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান নির্ধারিত সময়ে মানসম্মত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
পরবর্তীতে তিনি ইনানী এবং মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হিমছড়িতে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন। কাজের বর্তমান অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময়ে সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান, দেশের ভৌত অবকাঠামোগত নির্মাণে নিয়োজিত সকল স্তরের সেনা সদস্যদের কার্যকরী ভূমিকা রাখায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং ভূয়সী প্রশংসা করেন। “সমরে আমরা শান্তিতে আমরা” এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের উন্নয়নে অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।