গুইমারায় আশ্রয়ণের ঘর পেলো আরো ৭৫ ভূমিহীন পরিবার

fec-image

খাগড়াছড়ির গুইমারায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৫ম পর্যায়ে ঘর পেয়েছেন আরো ৭৫ ভূমিহীন পরিবার।

মঙ্গলবার (১৪ই নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ম ধাপে নির্মিত ঘরগুলো দেশব্যাপি একযোগে উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে গুইমারা উপজেলা প্রশাসনও আয়োজন করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহ হস্তান্তর। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেমং মারমা। জমিসহ আধা-পাকা ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন পরিবারগুলো। গৃহহীন প্রতিবন্ধী, বিধবা, নিঃসন্তান নারী পরিবার যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলো না, এমন পরিবারগুলো ২ শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে অনেক খুশি এমনটাই দেখা গেছে আজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কংজরী মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা ত্রিপুরা, প্রকল্প সচিব (পিআইও) রাজীব চন্দ্র পাল, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আফজাল হোসেন টিপু, থানার ওসি রাজীব চন্দ্র কর, ইউপি চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ণ ত্রিপুরা, মংশে চৌধুরী, রেদাক মারমা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভাগীয় কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দসহ উপকারভোগীরা।

প্রধান অতিথি মেমং মারমা বলেন, বাংলাদেশে একজনও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় গুইমারাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫ম পর্যায়ে আরো ৭৫ পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও ভূমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুর্গম এলাকার বাসিন্দা সুইজাইউ মারমা ও স্ত্রী আরেমা মারমা তারা দু’জনই বয়স্ক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। থাকতেন দুর্গম পাহাড়ের ডালে জরাজীর্ণ একটি বেড়ার ঘরে। ছিলোনা বিদ্যুৎ ও পানি। এখন তারা ঘরসহ দু’শতক জায়গা পেয়েছেন। তাদের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। এতেই তারা বেজায় খুশি।

গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ নির্মাণ কালে গিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ প্রকল্পের কাজ তদারকি করতে পেরেছি। উপজেলা মনিটরিং টিমও নিয়মিত মনিটরিং করেছে। টেকসই ও উন্নত মানের মালামাল ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে ঘরগুলো। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশের ন্যায় একসাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন। একই সঙ্গে গৃহের ও ভূমির দলিল ভূমিহীনদের হাতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা তুলে দিয়েছি।

এখন থেকে স্থায়ীভাবে এসব গৃহে বসবাস করতে পারবেন তারা। পেয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এসব ভূমিহীন মানুষের। প্রতিটি ঘর দুই শতাংশ সরকারি জমির উপর দুই কক্ষবিশিষ্ট ওয়ালসেড ও পাকা ল্যাট্রিন, রান্নাঘরসহ নির্মাণ করা হয় বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজু চন্দ্র পাল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আশ্রয়ণ, গুইমারা, ঘর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন