আনুষ্ঠানিকভাবে দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর

রামগড়ে আশ্রয়ণের ঘর পেলেন ১৩৩ গৃহহীন পরিবার

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আরও ১৩৩ টি গৃহহীন পরিবার পেলেন মাথা গোজার ঠাঁই।

বুধবার (২২ মার্চ) উপজেলার বিভিন্ন অত্যন্ত দুর্গম পাহাড়ি এলাকার এ ১৩৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন অতিদ্ররিদ্র পাহাড়ি-বাঙ্গালি পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালি হস্তান্তরের উদ্বোধন করার পর রামগড় উপজেলা অডিটোরিয়ামে সুবিধাভোগী পরিবারের কাছে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার মমতা আফরিনের সভাপতিত্বে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার বার্বারী।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সহকারি কমিশনার(ভূমি) মানস চন্দ্র দাস, রামগড় পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম কামাল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম আলমগীর, রামগড় ইউপি চচেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদারসহ বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক-সামাজিক নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

রামগড় উপজেলা র্নিবাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতা আফরিন জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চর্তুথ পর্যায়ের প্রথম ধাপে রামগড়ে এবার মোট ১৩৩টি পরিবারকে ঘর ও জমির দলিল দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রামগড় ইউনিয়নে ৩৭টি, পাতাছড়ায় ৭৩ ও রামগড় পৌরসভায় ২৩টি পরিবার রয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে ৩৪৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ণের ঘরে বসবাস করছেন। ‘সরেজমিনে যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার শনাক্ত করে তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও জমি দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ততার ভিত্তিতে এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙ্গালি সকলেই সমানভাবে এ সুবিধা পাচ্ছেন। গৃহ নির্মাণে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, দুই কক্ষের প্রতিটি ঘরে আলাদা রান্নাঘর ছাড়াও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট, বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুত সংযোগের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। বিদ্যুবিহীন দুর্গম পাহাড়ি গ্রামের আশ্রয়ণের ঘরগুলোতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় সোলার প্যানেল দেয়া হচ্ছে।

এদিকে, পাহাড়ের চূড়ায় কিংবা ঢালুতে বাঁশ-ছনের ঝুপড়িঘরে বৃষ্টির পানিতে ভিজে, গ্রীষ্মের তপ্ত রোদ আর শীতে কনকনে ঠান্ডায় অতিকষ্টে দিনাতিপাত করা ১৩৩ টি গৃহহীন অসহায় পরিবার ৪০০ বর্গফুট আয়তনের দুই কক্ষ বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন একটি সেমিপাকা ঘর ও জমির মালিক হওয়ায় আনন্দে মহাখুশি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আশ্রয়ণ, গৃহহীন, ঘর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন