রামগড়ে আরও ১৩৩ গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ণের ঘর পাবেন

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড়ে আরও ১৩৩টি ভূমিহীন, গৃহহীন, স্থায়ী ঠিকানাবিহীন অতিদ্ররিদ্র পাহাড়ি-বাঙ্গালি অসহায় পরিবার পাচ্ছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।

সোমবার(২০মার্চ) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতা আফরিন জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চর্তুথ পর্যায়ে রামগড়ে এবার মোট ১৩৩টি পরিবার ঘর ও জমি পাবেন। এর মধ্যে রামগড় ইউনিয়নে ৩৭টি, পাতাছড়ায় ৭৩ ও রামগড় পৌরসভায় ২৩টি পরিবার রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৩টি ঘরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী ৪০০ বর্গফুট আয়তনের দুই কক্ষ বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন একটি সেমিপাকা ঘর অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে ভার্চুয়ালি হস্তান্তরেরর উদ্বোধন করবেন।প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই রামগড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জায়গার দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে।

পাহাড়ের চূড়ায় কিংবা ঢালুতে বাঁশ-ছনের ঝুপড়িঘরে বৃষ্টির পানিতে ভিজে, গ্রীষ্মের তপ্ত রোদ আর শীতে কনকনে ঠান্ডায় অতিকষ্টে দিনাতিপাত করা অসহায় পরিবারগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্বপ্নের সুন্দর একটি সেমি পাকা ঘর তাদের এতদিনের কষ্ট দূর করে দেবে। এ ঘর আর জমির মালিক হবে এ আনন্দে পাহাড়ি-বাঙ্গালি পরিবারগুলোও মহাখুশি।

নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতা আফরিন বলেন, এর আগে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে ৩৪৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ণের ঘরে বসবাস করছেন।

ইউএনও মমতা আফরিন আরও বলেন, সরেজমিনে যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার শনাক্ত করে তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও জমি দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ততার ভিত্তিতে এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙ্গালি সকলেই সমানভাবে এ সুবিধা পাচ্ছেন। গৃহ নির্মাণে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হচ্ছে। দুই কক্ষের প্রতিটি ঘরে আলাদা রান্নাঘর ছাড়াও স্বাস্থ্য সন্মত লেট্রিন, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও বিদ্যুত সংযোগের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

বিদ্যুবিহীন দুর্গম পাহাড়ি গ্রামের আশ্রয়ণের ঘরগুলোতে র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় সোলার প্যানেল দেয়া হচ্ছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মানস চন্দ্র দাস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আশ্রয়ণ, গৃহহীন, ঘর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন