চকরিয়ায় মুজিববর্ষে ১৮০টি ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর

fec-image

★প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ★২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের মাধ্যমে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করবেন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ তথা মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ১৮০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আগামী (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর দেওয়া কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এ সময় চকরিয়া ভূমিহীনদের মাঝেও এই ঘর দেওয়া হবে। সেই লক্ষে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে পুরোদমে এগিয়ে চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়ন অগ্রধিকার প্রকল্পের ঘর নির্মাণের এই কার্যক্রম।

জানা গেছে, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীন সব পরিবারের জন্য নতুন ঘর তৈরি নিশ্চিতে জেলা প্রশাসকের তত্তাবধানে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।

জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সার্বিকভাবে সহায়তা দিচ্ছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন ছাড়াও ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে সহযোগিতা করছেন সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পরিষদের সদস্যরা।

প্রথম ধাপে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি খাসজমিতে নির্মিত ৩৬টি নতুন ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে উপহারভোগী পরিবার মাঝে। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের মাধ্যমে নির্মিত নতুন ঘরের চাবি ভূমিহীন উপকারভোগীর মাঝে হস্তান্তর করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রকল্পের সমন্বয়ক চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন থেকে ১৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে ২ শতক জমি এবং একটি করে সেমি পাকা নতুন ঘর। একইসঙ্গে উপজেলার নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠিও পাচ্ছে নতুন ২০টি সেমি পাকা ঘর। প্রতিটি ঘর দুইকক্ষ বিশিষ্ট। সামনে বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও শৌচাগর রয়েছে। এসব ঘরের চারপাশে দেয়াল এবং ওপরে রঙ্গিন টিনের ছাউনি রয়েছে। এছাড়াও নির্মিত প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুত সংযোগ, পানির ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধাদি।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভূমিহীন ৩৬টি পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উপহার নতুন ঘর দিয়েছেন। আর এসব পরিবারকে নতুন ঘর তৈরি করে দিতে জেলা প্রশাসনের এক নম্বর খাস খতিয়ানের অধীনে বেদখলে থাকা সরকারি খাসজমি উদ্ধারপুর্বক সেখানে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।

বর্তমানে উদ্ধার হওয়া খাসজমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রথম পর্যায়ে উপকারভোগী নির্বাচিত ভুমিহীন ৩৬টি পরিবারের জন্য নতুন ঘর। পরবর্তীতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে মোট ১৮০টি ভুমিহীন পরিবারকে দেওয়া হবে নতুন ঘর। ইতোমধ্যে প্রকৃত ভূমিহীন যাছাই-বাছাই শেষে এ সংক্রান্ত একটি তালিকাও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখিত ঘরের বিপরীতে নির্বাচিত ক শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষ্যে কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন কার্যক্রম ১৭ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।

প্রশাসন সুত্রে আরও জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থবরাদ্দের আলোকে বর্তমানে উপজেলায় প্রথম ধাপে নতুন ঘর পাচ্ছেন ৩৬ ভুমিহীন পরিবার। পরবর্তীতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ঘর পাবেন ১০টি করে পরিবার। প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। মাটি ভরাটের কোন বরাদ্দ না থাকলেও সেটি করে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থবরাদ্দের আলোকে বর্তমানে উপজেলায় প্রথম ধাপে নতুন ঘর পাচ্ছেন ৩৬ ভূমিহীন পরিবার। মাঠপর্যায়ে তালিকা যাচাই-বাছাই করে চুড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করে এ ঘর নির্মাণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে এদিন প্রত্যেক পরিবারের কাছে চাবি হস্তান্তর, কবুলিয়ত দলিল, নামজারী খতিয়ানসহ অন্যান্য কাগজপত্র উপকারভোগীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ঘর পাবেন ১০টি করে পরিবার। ইতোমধ্যে প্রকল্পের আওতায় চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত ক শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষ্যে কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন করা হয়। গত রোববার থেকে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চকরিয়া, প্রধানমন্ত্রী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন