চকরিয়ায় সীমানা বিরোধ নিয়ে হামলা-ভাংচুর : বৃদ্ধ নারীসহ আহত ৬

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সীমানা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বয়োবৃদ্ধ নারীসহ ছয় ব্যক্তিকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

সোমবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম বাটাখালী মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম বাটাখালী এলাকার মৃত সিরাজুল হকের স্ত্রী বয়োবৃদ্ধা ফিরোজা বেগম (৬২), তার ছেলে মমতাজ আহমদ (৩০), তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (২৬), মোহাম্মদ মানিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার (২০), মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে আকতার হোসেন (৩৮), তার ছোট ভাই মকছুদ আহমদ (৩৫)। এ ঘটনা নিয়ে আহতদের পরিবার থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে সুত্রে জানায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম বাটাখালী এলাকার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে আকতার হোসেন দীর্ঘকাল ধরে তাদের পৈত্রিক জায়গা ভোগদখল করে আসছিল। সোমবার সকালের দিকে তাদের দখলীয় জায়গায় বসতঘরের চারদিকে ঘেরা-বেড়া দিচ্ছিল।এ সময় তার বসতঘর ঘেরা-বেড়া দিতে বাঁধা দেন একই এলাকার মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে মো. ইউসুফ, তার ভাই নাজেম উদ্দিন, লিমন ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোর্শেদ।

ঘটনার একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইউসুফের লোকজন। একপর্যায়ে ইউসুফের লোকজন আকতার হোসেনের বসতঘরে হামলা ও ভাংচুর চালালে এতে বাঁধা দিতে গেলে বয়োবৃদ্ধ ফিরোজা বেগমকে বেদড়ক মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয়। ওই সময় বয়োবৃদ্ধা ফিরোজা বেগমকে তার ছেলে ও পুত্রবধূরা বাঁচাতে গেলে আলিম উদ্দিনের ছেলে ইউসুফ, নাজেম উদ্দিন, লিমন ও মোর্শেদ নেতৃত্বে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রদিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে আকতার হোসেনের ভাই ও তাদের স্ত্রীকে গুরুতর আহত করে জখম করা হয়।এমনকি সন্ত্রাসীরা অশ্লীল গালি-গালাজ করে তাদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শনও করেছে বলে জানায়।

আহত আকতার হোসেন জানান, আমার পৈত্রিক ও খরিদাকৃত জায়গায় বসতঘর নির্মাণ করে দীর্ঘকাল ধরে ভোগদখল করে আসছি। বর্তমানে ওই জায়গায় চতুরপাশে ঘেরা-বেড়া নির্মাণ করলে হঠাৎ করে সোমবার সকালের দিকে ইউসুফের নেতৃত্বে জবর-দখলে চেষ্টা চালানো হয়। এতে বাঁধা দিলে তারা আমাকে ও আমার মা, ভাই এবং তাদের স্ত্রীদেরকে কুপিয়ে ও মারধর করে ভাংচুর ও হামলা চালানো হয়। ওই সময় তারা আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করে। এনিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো.হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি । অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চকরিয়া, সন্ত্রাসী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন