খাদ্য সংকট চরমে

টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌপথে পাঁচ দিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ

fec-image
সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বীপবাসী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
টানা পাঁচ দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। দ্বীপে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। নিরাপত্তার স্বার্থে মাছ ধরার ট্রলারগুলোও ফিরিয়ে আনা হয়েছে টেকনাফে।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘দ্বীপের মানুষ আগে থেকেই সংকটে ছিল। এখন নৌযান বন্ধ থাকায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফুরিয়ে এসেছে। খাদ্যপণ্য না পৌঁছালে মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে।’
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের সার্ভিস বোট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় গত পাঁচ দিন যাবত নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মালামাল আনা-নেওয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বীপবাসী কর্মহীন অবস্থায় আরও দুর্বিষহ সময় পার করছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। কক্সবাজারসহ দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। টেকনাফ উপকূলেও ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় নাফ নদীর তীরে জোয়ারের ঢেউয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রবি আলম বলেন, ‘সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে নদীর পানি বেড়ে বেড়িবাঁধে আঘাত করছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক পরিবার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, পাঁচদিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ। বাজারে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বীপবাসীর দিনকাল খুব খারাপ যাচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আগে থেকেই সেন্টমার্টিনে আড়াই হাজার মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারো নৌযান চালু হবে। শাহপরীর দ্বীপের ভাঙনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টেকনাফ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন