দিঘীনালায় ইউপিডিএফ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি:(আপডেইট)
খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত এক অভিযানে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল সোমবার দুপুর সোয়া বারোটায় দিঘীনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের কৃপাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৩ শত রাউন্ড গুলি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত গুলির মধ্যে রয়েছে, মেশিন গানের গুলি ৯০ রাউন্ড, এসএমজি/এলএমজির গুলি ১৫৬ রাউন্ড, ৯ মি.মি পিস্তলের গুলি ১০৪ রাউন্ড, ৩ টি ওয়ারলেস এন্টেনা, বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী ও ভারতীয় মোবাইলের সিম, একটি ভারতীয় ভিসা কার্ড, ইউপিডিএফের বেশ কিছু সামরিক পুস্তক ও বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র পার্বতনিউজকে জানায়, উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের কৃপাপুর গ্রামের স্থানীয় ডাক্তার প্রীতি বিকাশ চাকমার বাড়িতে ইউপিডিএফের কমান্ডার আদিবাবুর নেতৃন্তে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা অপারেশন পরিচালনার জন্য জড়ো হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল আজ দুপুর সোয়া বারোটার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে।
সূত্রটি আরো জানায়, ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা তাদের আহত সদস্যদের এই ডাক্তারের কাছে এনে চিকিৎসা করাতো দীর্ঘদিন ধরে। এ ছাড়াও মারিস্যায় আহত ইউপিডিএফ সদস্যকেও ওই বাড়িতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল এমন গোয়েন্দা তথ্যও ছিলো তাদের কাছে।
কিন্তু দিনের বেলায় অপারেশন চালানোয় পুর্ব থেকেই টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের আস্তানা ত্যাগ তরে চলে যায়।
এ সময় বাড়িটি তল্লাসী চালিয়ে মেঝের মাটি খুঁড়ে গর্ত থেকে এই বিপুল পরিমাণ গুলি ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এসময় পার্শ্ববর্তী কামিনি রঞ্জন চাকমার বাড়ি তল্লাশী করা হয়। এসময় তার বাড়ি থেকে ওয়ারলেস সেটের এ্যান্টেনা ৩টি, ইন্ডিয়ান মোবাইল সীম ৬টি, মাষ্টার কার্ড এবং একটি মোবাইলসহ ৭টি বিপ্লবী বই উদ্ধার করা হয়। কামিনি রঞ্জন চাকমা উপজেলার শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আটক যুবকের নাম সুপ্রিয় চাকমা(১৮)।
সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে এক সুপ্রীয় চাকমা নামে ইউপিডিএফ সমর্থক পাহাড়ী যুবককে আটক করে দিঘীনালা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এব্যাপারে দীঘিনালা জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফেরদৌস জিয়া উদ্দীন মাহমুদ জানান, অস্ত্র ও গুলিসহ সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়েই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সাড়ে তিনশত গুলিসহ তাদের বিভিন্ন সরঞ্জামাদী উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, প্রীতি বিকাশ চাকমা একজন চিকিৎসক। সে ইউপিডিএফ’র ¯^সস্ত্র্র গ্রুপের আহত ব্যাক্তিদের সে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
This is made by Bangladesh Army in CHT. This is not a new event, it still continue operation and torture against innocent hill people in CHT.