নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রথম করোনা রোগী একদিন পর আইসোলেশনে
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় করোনা আক্রান্ত ওই রোগীকে একদিন পর আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিজ গ্রাম থেকে সরিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। বর্তমান স্থানে তার চিকিৎসার সবধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬এপ্রিল) ৬৯ বছর বয়সী ওই ব্যাক্তির শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রয়েছে বলে শনাক্ত করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব।
এই খবর নিশ্চিত হওয়ার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি ও পুলিশ রাতে সরেজমিনে গিয়ে ওই ব্যাক্তির বাড়িসহ মোট ৩৬টি আশপাশের বাড়ি লকডাউন করেন।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর কোণারপাড়া গ্রামের ওই বাসিন্দা তাবলীগ থেকে বাড়িতে আসার পর পর তাকে হোম কোয়ারাইন্টানে রাখা হয়েছিল।
রোববার (১৯ এপ্রিল) তার কোয়ারাইন্টাইম সময় শেষ হওয়ার কথা। এই সময়ের মধ্যে ওই রোগীর শরীরে রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। এদিকে ঘুমধুমের করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে উপজেলা জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
অনেকে ওই রোগীকে চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে এমন বড় কোন হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়ার দাবী তোলেছেন। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা বলেন- ঘুমধুমের ও রোগীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ ফলাফল আসলেও তার শরীরে রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বর্তমানে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। দুই-একদিনের মধ্যে ওই রোগীর সর্বশেষ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- করোনা সংক্রমণ থেকে নিজ পরিবার ও দেশকে বাঁচাতে প্রত্যেককে সচেতনতার মাধ্যমে সরকারি নির্দেশ পালনের আহ্বান জানান।