পর্যটকদের জুম চাষের ধারণা দিতে জুম ঘর নির্মাণ


বান্দরবানে আগত পর্যটকদের পাহাড়িদের জুম চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে এবার বান্দরবানের নীলাচলে গড়ে উঠছে জুমঘর। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা পাহাড়ের ঢালে কীভাবে জুমচাষ করা হয় সে সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারবে। একইভাবে জুমচাষ পদ্ধতি নিজ চোখে উপভোগ করতে পারবে।
এ নিয়ে বুধবার (৪মে ) বিকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান নিজ ফেইসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, জুমঘর, নীলাচল। জুম চাষের জন্য পাহাড়ের জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়েছে। ফসল তৈরির জন্য বৃষ্টিও হয়েছে দুই পশলা। এখন বীজ বপনের পালা। মান্যবর জেলা প্রশাসক জনাব ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্যারের আরেকটি অসামান্য নিদর্শন হতে যাচ্ছে নীলাচলের জুমঘর। এখানে পর্যটকরা এসে জুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে। পাশাপাশি জুম ঘরে রাখা হবে পাহাড়ের ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পোশাক পরিচ্ছদ। পর্যটকরা পাহাড়ি পোশাক পড়ে জুম ক্ষেতে নেমে বা জুম ঘরে ছবি তুলে নীলাচলের স্মৃতি ধরে রাখবে। চোখ রাখুন নীলাচলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায, এশানুর দোকানের পাশ দিয়ে ভিআইপি কটেজে যাওয়ার পথে রাস্তার ডানদিকে এর অবস্থান। এদিকে কিছু পাহাড়ি কলাগাছ ছিলো। ইতোমধ্যে জুমঘর ও জুমের জমি তৈরি করার জন্য কলাগাছগুলো কেটে পরিষ্কার করা হয়েছে। অতিদ্রুত জায়গাটিতে জুম ঘর ও জুম ক্ষেত তৈরি করা হবে বলে জানাগেছে।
এ বিষয়ে বান্দরবানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক জেলার পর্যটন বিকাশে এগ্রো-ট্যুরিজম, ইকো-ট্যুরিজম ও কমিউনিটি ট্যুরিজমের উপর জোর দিয়েছেন। আমরা জানি, পার্বত্য জেলাগুলোতে পাহাড়িদের জীবিকার প্রধান উৎস জুম চাষ।
তিনি বলেন, প্রতিবছর লক্ষাধিক পর্যটক নীলাচল পর্যটন স্পটে আসলেও জুমচাষের পদ্ধতি সম্পর্কে তারা অবগত নয়। তাই পর্যটকরা যেনো নীলাচলে এসে ডেমো হিসেবে জুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক নীলাচলে একটি জুম ঘর, জুম খেত তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই জুম ঘরে জুমচাষ পদ্ধতি ছাড়াও বান্দরবানের ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পোশাক পরিচ্ছদ থাকবে। পর্যটকগণ এইসব পোশাক পরিধান করে জুমঘর বা জুমক্ষেতে ছবি তুলে নীলাচলের স্মৃতিধারণ করে রাখতে পারবে। পাশাপাশি, এটি নীলাচল পর্যটন স্পটের সামগ্রিক সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করবে।
মূলত, পর্যটকদের ডেমো জুম চাষ পদ্ধতি দেখানোর উদ্দেশেই জুমঘর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।