পানছড়ি ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষ তালাবদ্ধ

fec-image

পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশেই দৃষ্টিনন্দন পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার অবস্থান। এক সময়ে শিক্ষার মান ও ফলাফলে জেলার মাঝে সেরা ছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা মো. জাকির হোসাইনের মৃত্যুর পর শুরু হয় হযবরল অবস্থা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় সরেজমিনে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, এবতেদায়ী শিক্ষায় বেহাল দশার চিত্র। কোমলমতি শিশুদের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কক্ষ তালাবদ্ধ।৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণী মিলে মোট শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল ১১ জন।

এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. আবুল কাশেমকে বার বার ফোন করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. আবুল কাশেম খাগড়াছড়ি যাওয়ার উদ্যেশ্যে পানছড়ি ত্যাগ করেছেন। অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মো. জামাল উদ্দিন রয়েছেন সিএল ছুটিতে।

মাদ্রাসার সাবেক কয়েক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোনিবেশের দিকে মন না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপারের আসল নজর ছিল সুপারিনটেনডেন্টের চেয়ারখানা সুকৌশলে দখলে আনা। তাই ফলাফলে প্রতি বছর যেমনি ভরাডুবি খাচ্ছে তেমনি অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়াতে আগ্রহ হারাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সু-নজর আশা করছে তারা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অনিয়ম, পানছড়ি, মাদ্রাসা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন