পূজামণ্ডপে ১১ বিজিবির নিরাপত্তায় খুশি পূজারিরা

fec-image

বান্দরবান নাইক্ষংছড়িস্থ ১১ বিজিবি জোয়ানরা নাইক্ষ্যংছড়ি, পেকুয়া ও চকরিয়ার ৬০টি পূজামণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তারা পূজারিদের সার্বিক সহায়তা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পূজামণ্ডপে নিয়োজিত ১১ বিজিবির এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, বুধবার (৫ অক্টোবর) ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্ম অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয় দশমী। শুরু থেকে আজকের এ দিন পর্যন্ত তারা এ তিন উপজেলার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্যে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে পূজারিদের অনেকেই জানান, শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ ছিলো বিজয়া দশমী। উৎসবমুখর পরিবেশে তারা প্রতিমাকে বিসর্জন দেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। তবে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি তাদের যে নিরাপত্তা দিলো তাতে তারা খুব খুশি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ সকলে তাদের পাশে ছিলেন। বিশেষ করে ১১ বিজিবির অধিনায়ককে ধন্যবাদ জানান
তারা। কারণ তিনি সার্বক্ষণিক তাদের খোজঁখবর নিয়েছেন আপন ভেবে, স্বজন ভেবে।

এদিকে বিজিবি সূত্র জানান, তারা উপজেলা ৩টির মধ্যে নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় ৩টি, পেকুয়া উপজেলার ৯টি এবং চকরিয়া উপজেলায় ৪৮টি সহ মোট ৬০টি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা দিয়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের সার্বজনীন হরি মন্দিরের সভাপতি লক্ষণ কান্তি দে বলেন, সাধুবাদ ১১ বিজিবিকে। তারা সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হলেও নাইক্ষ্যংছড়ির ৩টি সহ ৬০ পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালনের জন্যে।

সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ১১ বিজিবি অনেক দায়িত্বশীল বিজিবির এক নাম। সীমান্তে এতো ব্যস্ততার মাঝেও তারা ৬০টি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার চাঁদরে পূজারিদের পাশে ছিলেন। এটি এক অভূতপূর্ব এক নজির। বিশেষ করে অধিনায়ক মহোদয় সবার প্রতি সুনজর রেখেছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নিরাপত্তা, পূজামণ্ডপ, বিজিবি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন