দেখার কেউ নেই

বাঙালহালিয়াতে বালু ও পাহার কাটার বেপরোয়া সিন্ডিকেট

fec-image

প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়ার অধিকাংশ স্থানে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চলছে। নদী, ছড়া ও কৃষি জমিতে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

উত্তোলিত বালু পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধ বালু মহালের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, বলছে সুশীল সমাজ।

এতদিন কাপ্তাই নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে বালু তোলা হলেও এখন বাঙালহালিয়ার সর্বত্র চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাহার কাটার চক্রের দৌরাত্ম্য। বালু খেকোদের নজর থেকে বাদ যাচ্ছে না কৃষি জমিও।  সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চলছে রাজস্থলী উপজেলা থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নাম ভাঙ্গিয়ে ডংনালা, পুলিশ ক্যাম্প হতে ৫০ গজ ভিতরে, বাঙালহালিয়া শফিপুর লতিফের বাড়ী সংলগ্ন, কুদুমছড়া, পুলকচৌধুরীর বাড়ীর পূর্বে, ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের ৩৩ লক্ষ টাকার ব্রীজের পাশের এলাকায় রাতের আধাঁরে এসব বালু পাচার হচ্ছে চট্টগ্রামে। বালু উত্তোলনের কারণে সরকারি বরাদ্ধকৃত ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের নির্মিত ব্রীজটি যে কোন মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে।

এছাড়া রাজস্থলী উপজেলার ছাইংখ্যং খাল, বড়ইতলি, কাপ্তাই নদীর একাধিক স্পটে এমনকি কৃষি জমির গভীর থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তোলা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গনের পাশাপাশি কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে। উত্তোলিত বালু পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রাজস্থলী উপজেলার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও উত্তোলিত বালু রাতের আধারে সমতলে পাচার হয়ে যাওয়ার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন নদী, ছড়া ও খাল থেকে অবৈধভাবে অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা  বলেন, বাঙালহালিয়াতে ইজারাবিহীন বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ধবংসের সাথে প্রভাবশালীরা জড়িত, এটি দুর্নীতি।

তবে এ বিষয়ে কথা হলে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার পার্বত্য নিউজকে বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমাকে জানিয়েছি। তিনি অপরাগত হলে আমি প্রশাসনিকভাবে বালু খেকুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধবংসের মহোৎসব বন্ধের দাবি  জানিয়েছেন বাঙালহালিয়াবাসী।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাঙালহালিয়া, বালু ও পাহার কাটার, বেপরোয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন