বান্দরবানে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বৈঠক

fec-image

পাহাড়ে চলমান পরিস্থিতির শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বান্দরবানে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠ কমিটি’ ও কেএনএফ এর মধ্যে দ্বিতীয় সংলাপ জুম প্লাটফর্মে তিন ঘন্টা আলোচনা করা হয়েছে।

আলোচনা চলাকালে গোলাগুলি, গুম, হত্যা ও পর্যটকদের অপ্রত্যাশিত ঘটনা বন্ধে একমত হয়েছে। আলোচনায় ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি’ সরাসরি বসে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

শুক্রবার(৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা ৩০ পর্যন্ত দীর্ঘ তিন ঘন্টা বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সভা কক্ষ থেকে ১০ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সদস্যরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দেন, কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা এবং কেএনএফের ৪ সদস্যে নেতৃত্ব দেন, কেএনএফ এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাওয়াই ওরফে লালজংমই বম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা।

কেএনএফ এর দাবি দাওয়া ব্যাপারে জানতে চাইলে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা জানান, প্রথমবার আলোচনায় কেএনএফ যে দাবিগুলোর কথা বলেছে আজকেও একই দাবি পেশ করেছে তারা। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি সরাসরি দেশের ভিতরে বসে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হলে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কেএনএফ রাজি হয় নি। তবে তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে নিরাপত্তা দিতে পারলে তারা সরাসরি আলোচনায় বসবে বলে জানান শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র।

তিনি আরও জানান, কেএনএফ পক্ষ থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সদস্যদের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির ব্যাপারে জানতে চেয়েছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি সরকারের অনুমোদন আছে কিনা, তাদের দাবি দাওয়া সরকারের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা। অন্যদিকে কেএনএফ এর দাবি দাওয়া বিষয়ে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি’ তাদেরকে লিখিতভাবে দেওয়ার কথা বলেছে বলে জানান শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে চলমান ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) সমস্যা সমাধানের জন্য গত ২২ জুন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লাকে আহ্বায়ক, কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যাকে মুখপাত্র ও সদস্য এবং লালজার বমকে সদস্য সচিব করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি’ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছিল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কেএনএফ, বান্দরবান, বৈঠক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন