বান্দরবানে জেএসএস নেতাকে অপহরণের পর হত্যা


বান্দরবানে অপহরণের পর জনসংহতি সমিতির এক নেতাকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তার নাম প্রুশে থোয়াই মারমা (৩৬)।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার আমতলী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনায় উসাইমং মারমা (৩০) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
সোমবার (১৩ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান কাপ্তাই সড়কের আমতলি পাড়ার কাছে মাটিতে পুতা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে সদর থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও গিয়েছে। নিহত প্রুশে থোয়াই মারমা (৩৬) আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির বান্দরবান সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক জেলা সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ডলু পাড়ায় হানা দিয়ে পুশথোয়াই মারমাকে তার নিজ বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আমতলী এলাকায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা জানাতে না পারলেও স্থানীয়রা বলছেন মারমা লিবারেশন পার্টি এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। স্থানীয়রা জানিয়েছে এ ঘটনার পর ওই এলাকায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় একটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বান্দরবানে জনসংহতি সমিতির সাথে মগ লিবারেশন পার্টি, আওয়ামী লীগ সহ কয়েকটি স্থানীয় দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলে আসছে।