মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় আরও ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর
রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় আরও ৩ আসামির প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আসামিরা হলেন-মো. ইলিয়াস, মো. সালাম ও জিয়াউর রহমান।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) কার্তিকের আবেদন শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানীতে আসামি পক্ষে ছিলেন- এডভোকেট খায়রুল আমিন, এডভোকেট অনিল কান্তি বড়ুয়া, এডভোকেট সাইফুদ্দীন প্রমুখ। বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারাহ তাঁর আদেশে রিমান্ড বিষয়ক হাইকোর্টের নির্দেশিত সকল বিধি প্রতিপালন করে রিমান্ড কার্যকর করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর একই আদালতে দুই জনের রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারক। তারা হলেন- কুতুপালং ক্যাম্পের সি-ব্লকের বাসিন্দা নুর বশরের ছেলে সেলিম উল্লাহ ওরফে লম্বা সেলিম (২৭) ও মধুরছড়া ৩ নম্বর ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকের রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ (২৫)।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং ক্যাম্পের লম্বাশিয়ায় মাস্টার মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২৫ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা করেন। যার মামলা নম্বর- ১২৬।
মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুল শিক্ষক মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার, নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসন ও তাদের মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম তাকে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবেও আখ্যায়িত করে।
ঘটনার পর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জেলা পুলিশ ও এপিবিএনের টহল বাড়ানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক।