রাঙামাটিতে কালেরকণ্ঠ ও এনটিভির সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে মানহানী মামলা

07091216

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘কোনো প্রকার যাচাই বাছাই না করে একপেশে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করার’ অভিযোগে রাঙামাটি থেকে সদ্য প্রকাশিত কার্পাসমহল নামক ম্যাগাজিনের সম্পাদক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে রাঙামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে ফৌজদারি নালিশ করেছেন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের একমাত্র জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী চিকিৎসক ডাঃ নীহার রঞ্জন নন্দী। উল্লেখ্য, ফজলে এলাহী বেসরকারি টেলিভিশন “এনটিভি”র ষ্টাফ রির্পোটার, দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার রাঙামাটি প্রতিনিধি, স্থানীয় দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক ও সদ্য প্রকাশিত কার্পাসমহল পত্রিকার সম্পাদক। বর্তমানে তিনি একটি নতুন অনলাইন সংবাদপত্র প্রকাশনার কাজে জড়িত রয়েছেন।

রবিবার ডা. নন্দী রাঙামাটি বারের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট জুয়েল দেওয়ানের মাধ্যমে আদালতে এই নালীশ উপস্থাপন করেন। কনজিনেন্স আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আইরিন পারভীন উক্ত ফৌজদারি নালীশটি আমলে নিয়ে আসামী সাংবাদিক ফজলে এলাহী’র বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী নভেম্বরের ২০ তারিখে আসামীকে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে এব্যাপারে ব্যাখা দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতে ফৌজদারি নালীশি মামলা নাম্বার হলো, সি আর-২০৪/১৩। আসামী হিসেবে নামোল্লেখ করা হয়েছে, ফজলে এলাহী-সম্পাদক কার্পাসমহল, পার্বত্য চট্টগ্রাম মিডিয়া সেন্টার, বিএম শপিং কমপ্লেক্স(৩য় তলা) বনরূপা-রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।

মামলার বাদি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের একমাত্র গাইনী চিকিৎসক ডাঃ নীহার রঞ্জন নন্দীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সদ্য প্রকাশিত “কার্পাসমহল”এর ৬৫ নং পৃষ্টায় বিভিন্ন রকম মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট করেছে। যার প্রেক্ষিতে আমি মাননীয় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি এবং মাননীয় আদালত আসামী ফজলে এলাহীকে আগামী মাসের বিশ তারিখে আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে সমন জারি করেন।

এদিকে সাংবাদিক ফজলে এলাহী এ মামলার বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় পার্বত্য নিউজকে বলেন, ‘‘ভুক্তভোগী অসংখ্য মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতেই রিপোর্টটি করা হয়েছে, রিপোর্টে তার বক্তব্যও যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তিনি সংবাদের কোন প্রতিবাদও দেননি। হাসপাতালে বারবার যোগাযোগ করার পরও তারা কোন সহযোগিতা না করে চোরের মতো আচরণ করেছে, ক্লিনিকের মালিকের নাম পর্যন্ত বলেনি, দেখায়নি রেজিস্ট্রারও। ডা: নীহার এবং লেকসাইট হাসপাতালের বিরুদ্ধে আরো অজস্র অভিযোগ আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণসহ আছে,যথাসময়ে তা তুলে ধরে হবে। কিছু অসাধু ব্যক্তির প্ররোচনায় ডা: নীহার এই মামলা দায়ের করেছেন বলে আমরা জেনেছি। প্রকাশিত সংবাদের কোন প্রতিবাদ না দিয়ে সরাসরি মামলা করে তিনি সরকারী চাকুরি বিধিরও সুস্পষ্ট লংঘন এবং নিজের নৈতিক অসততার নজির স্থাপন করেছে ‘’।

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মামলা, রাঙামাটি
Facebook Comment

3 Replies to “রাঙামাটিতে কালেরকণ্ঠ ও এনটিভির সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে মানহানী মামলা”

  1. সবকিছুরই একটা সীমা আছে………আপনার হাতে একটি অস্ত্র থাকলেই যে আপনি সেটির অপব্যবহার করবেন এটি হয় না। মি: ফজলে এলাহি ………..আপনাকে নিয়ে একটি কবিতা…রং করনা ফজলে এলাহি এনে দেব জুন জুনী , আমার সাথে করবি খেলা যখন তোর হেড়াম থাকবে,
    থেকুনা আর খাল পুলীয়ে, লিখলাম এবার তোমায় নিয়ে……….

  2. বুঝতে হবে তার যোগ্যতা আছে। কিন্তু এইসব বাঙালী ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত। পরিচয় দেবে বাঙালী আর সন্তু লারমার টাকায় সাংবাদিকতা করবে এটা হতে দেয়া হবে না। বাঙালীরা এদের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে সাবধান।

  3. এটাই কি সাংবাদিকতা………………………………

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাঙামাটির বিএনপিকে দুইটি অংশে বিভক্ত করার ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছেন।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাঙামাটির আওয়ামীলীগকে জনগণের সামনে নগ্নভাবে উপস্থাপন করেছেন।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাঙামাটির একজন সরকারি অফিসারের সাথেও কোনো ধরনের সুম্পর্ক থাকাতো দুরের কথা সবাইকে আছোলা বাশঁ দিয়েছেন।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি মুসলমান হয়েও শুক্রবারের জু’মআ’র নামাজ আদায় করেন না।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি পরপর তিনটি মানহানীর মামলা খেলেন। যার একটি কোটি টাকার তিপুরন আদায়ে করা।
    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি শত শত লোকের সামনে চড়-খাপ্পর খেয়েছেন স্বীয় কৃতকর্মের জন্য।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাঙামাটির সাংবাদিকদেরকে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে রাখেন প্রতিনিয়ত।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি তার নিজের সংগঠনেও যথেষ্ট সমালোচিত।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি তার সহকর্মীর সাথে মতের মিল না হওয়ায় গুন্ডা দিয়ে পেঠাতে চেয়েছেন।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি বিএনপির মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলে ষ্টাফ রির্পোটর হিসেবে চাকুরি করেও বিএনিপর বিরুদ্ধে অশালীন কথা বলেন।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি জামায়াত নেতার সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রেখেও গণজাগরণ মঞ্চে দলটি সম্পর্কে গালাগাল করেন।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি ইসলামী ব্যাংককে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনিই ঐ ব্যাংকে বেশ কয়েকটি একাউন্ট করেছেন।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন আদিবাসি দিয়ে আর বর্তমানে হয়েছেন বাঙ্গালী দরদী।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যার সাথে তার সহকর্মীদের কোনো সুসম্পর্ক নেই। এমন কোনো সহকর্মী নেই যার মনে তিনি কষ্ট দেননি।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যার আত্ম অহংকার আকাশ সমান।

    তিনি একমাত্র ব্যক্তি যে মরলে তার জানাযায় মানুষ হয়নি কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

    বন্ধুগণ আপনারাই বলুন এটাই কি সাংবাদিকতা………………

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন